স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক চা দোকানিকে মারধরসহ দোকান ভাঙচুর করেছে যুবলীগ ক্যাডার শাহিন গং। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসস্ট্যান্ড এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে দামুড়হুদা-দর্শনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলে ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। এ বিষয়ে শাহিনসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে দামুড়হুদা থানায় মামলা করা হয়েছে। ইজিবাইকচালক ও ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চালকের মধ্যে যাত্রী তোলা নিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সূত্রপাত বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ন’টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার চা দোকানি ইয়ানবী সকালে তার চার দোকানে চা তৈরি করছিলো। এ সময় দোকানের সামনেই ইজিবাইকচালক দামুড়হুদা দশমীপাড়ার মৃত নজির আহম্মেদের ছেলে শরিফুল ও ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক ডুগডুগি গ্রামের ফয়েজের মধ্যে যাত্রী ওঠানো নিয়ে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ পর সকাল ন’টার দিকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক ভাড়াটিয়া মস্তানবাহিনী যুবলীগ ক্যাডার শাহিন তার সহযোগী শামিম ও সাইফুলকে সাথে নিয়ে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। চা দোকানি ইয়ানবী শাহিনকে দোকানের সামনে জটলা তৈরি না করার জন্য নিষেধ করলে শাহিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তার হাতে থাকা বাটাম দিয়ে ইয়ানবীকে বেধড়ক মারধর করে। সেই সাথে তার চার দোকানটিও ভাঙচুর করে। তাকে টেকাতে এলে পার্শবর্তী মাংস বিক্রেতা আকুব মোল্লার ছেলে ওয়াসিম ও তার ভাই লাভলুকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
চা দোকানিকে এভাবে মারতে দেখে পার্শ্ববর্তী দোকানদাররা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং এগিয়ে এলে শাহিন গং পালিয়ে যায়। এর প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড এলাকার অন্যন্য ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকান বন্ধ রেখে দামুড়হুদা-দর্শনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং রাস্তার উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলে ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইয়ানবী বাদী হয়ে শাহিনসহ তিনজনের নামে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছে।