দামুড়হুদায় নির্বাচন কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারপিট মামলায় ইউপি মেম্বার জালাল জেলহাজতে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের সাত নং ওয়ার্ড সদস্য জালাল উদ্দিনকে (৪০) উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারপিট মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক আদালত (১)’র বিচারক শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ছয় জুন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা, হাউলী ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ চলছিলো। প্রতীক বরাদ্দের পর তবলা প্রতীক পাওয়া সদস্য প্রার্থীরা তাদের প্রতীক পরিবর্তনের দাবি জানায়। কিন্তু লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ হওয়ায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান পরবর্তীতে প্রতীক পরিবর্তনে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় তবলা প্রতীক পাওয়া আট প্রার্থীসহ ১০/১৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কিলঘুষি চড়-থাপ্পড় মারে। ওই কর্মকর্তাকে ঠেকাতে এলে নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারী নুরুল ইসলাম ও পিয়ন মাহবুব হোসেনকেও মারপিট করে। এছাড়া কার্যালয়ের চেয়ার ভাঙচুর ও কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে।

মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় আট ইউপি সদস্য প্রার্থী এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার এসআই মুকুল কুমার ঘোষ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর এজাহারভুক্ত আট আসামির মধ্যে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে পাঁচ নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম ২০১১ সালের ২১ জুন ভোটগ্রহণকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অন্য আসামিদের মধ্যে তারিনীপুরের আসাদুজ্জামান সেলিম, জয়রামপুরের নিজাম উদ্দিন, পাটাচোরার আহসান হাবীব ও বদনপুরের শফিউল আলম বর্তমানে জামিনে আছেন এবং অপর দু আসামি বদনপুরের মো. রফিক ও লোকনাথপুরের রিকাত আলী এখনও পলাতক রয়েছেন।