মাথাভাঙ্গা অনলাইন : রাজধানীর রামপুরায় নিজ বাসায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হয়েছেন সিআইডি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এডিশনাল এসপি ফজলুল করিম খান (৬৮)।
বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম রামপুরার ৭৫/২ ওয়াপদা রোডের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ৫ম তলা বাড়ির তৃতীয় তলায় ফজলুল করিম পরিবারসহ বসবাস করেন। ৩ সন্ত্রাসী ওই বাড়ির তৃতীয় তলার ড্রইং রুমে ঢুকে ফজলুল করিমের মাথায় গুলি করেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী আফরোজা খান স্বপ্না কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, সকাল সাড়ে ৯ টায় গুলশান যাবার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন তিনি। ৩ তলার সিড়ি দিয়ে নামার সময় আনুমানিক ২৫-২৮ বছর বয়সী কালো শার্ট পড়া এক যুবক তার পথরোধ করে। যুবকটি পকেট খেকে অস্ত্র বের করে তাকে ফ্ল্যাটের ভেতরে বেডরুমে নিয়ে আটকে রাখে। এসময় দক্ষিণ পাশের একটি রুমে সংবাদপত্র পড়ছিলেন ফজলুল করিম। যুবকটি তাকে আটকে রেখে বাইরে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পাশের রুম থেকে গুলির আওয়াজ শোনেন তিনি।
তিনি জানান, যুবকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার গলার স্বর্ণের চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নিহতের বাসার গৃহকর্মী আজাদ (১২) জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩ যুবক জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় পাশের রুমে ফজলুল করিমের সাথে বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির শব্দ শোনা যায়। একপর্যাযে গুলির আওয়াজ শোনা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসীরা তৃতীয় তলার ড্রইং রুমে ঢুকে ফজলুল করিমকে মাথায় গুলি করেছে।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে রামপুরা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম জিয়াউর রহমান বলেন, কারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ও পুলিশ একটি গুলির খোসাসহ ৩ টি গুলির আলামত পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহত ফজলুল করিম পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে।