মো. শাহাবুদ্দিন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং, ভূতুড়ে বিল, ডিজিটাল মিটারের নামে প্রতারণা, নতুন সংযোগ পেতে আবেদন করার পর বছরের পর বছর হয়রানি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসদাচরণের ফলে সাধারণ বিদ্যুতসংযোগ প্রত্যাশীরা ও সাধারণ গ্রাহকরা সৌর বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কিস্তিতে পরিষোধযোগ্য সৌর বিদ্যুত সংযোগ পেতে গ্রামাঞ্চলের মধ্যবৃত্ত গ্রাহকরা খুশি। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ সৌরবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা সদর পিডিপির আওতাভুক্ত। এছাড়া দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের আওতাভুক্ত। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে লোডশেডিং কম থাকলেও আলমডাঙ্গা উপজেলা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ধারাবাহিক লোডশেডিং বাড়ছে। আকাশে মেঘ জমলে একটু বাতাস হলেই বিদ্যুত বন্ধ করে দেয়া, সম্প্রতি দামুড়হুদায় ডিজিটাল মিটার দেয়া হলেও সাধারণ গ্রাহকরা অখুশি। বিদ্যুত না থাকলে জেনারেটর চালালেও মিটার চলছে বলে অনেক গ্রাহকের মুখে শোনা যাচ্ছে। অতিরিক্ত বিল আদায়, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহক হয়রানিসহ নতুন সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করার পর বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ না পাওয়ায় এমনিতেই সাধারণ মানুষ পল্লী বিদ্যুতের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। যে কারণে সাধারণ মানুষ বসতবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বিদ্যুতায়ন করতে বিকল্প বিদ্যুত হিসেবে সৌর বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ইতোমধ্যে দামুড়হুদা, জীবননগরের অনেক পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক লোডশেডিং, ভূতুড়ে বিলের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বসতবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে সৌরবিদ্যুত সংযোগ নিয়েছেন এতে যেমন লোডশেডিং তেমনই বিলের কোনো ঝামেলা নেয়। নগদে ও সহজ মাসিক কিস্তিতে অতি সহজেই এ সংযোগ পাওয়া যায়। গ্রাহক সেবারও কমতি নেই। লাইনম্যানরা অভিযোগ পেলেই ছুটে যান গ্রাহককে সেবা দিতে। গ্রামীণ শক্তি চুয়াডাঙ্গা রিজিউন ম্যানেজার মো. রাসেল মিয়া জানান, গ্রামীণ শক্তির সৌরবিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ২০১২ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আমাদের সৌরবিদ্যুতের সংযোগ ছিলো ৩৮০টি। ২০১৩ সালের চলতি মাস পর্যন্ত আরো ২২০টি নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ও বেসরকারি এনজিওসহ বিভিন্ন সাহায্য ও উন্নয়নমূলক সংস্থা সৌরবিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ঠ বলে তিনি জানান।