মাথাভাঙ্গা অনলাইন: ঐশী রহমানকে কিশোরী সংশোধন কেন্দ্র থেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাত এ আদেশ দেন।
সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত। সিদ্দিকুর রহমান তার আবেদনে বলেন, ১৯৭৪ সালের শিশু আইন অনুয়ায়ী ঐশীর বয়স ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে। সে শিশু নয় বিধায় তাকে আদালতে পাঠানো হোক।
এর আগে ঐশীকে পাঁচদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে শিশু অধিকার আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন মহল। এ ঘটনায় আইন অনুসরণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে কমিশন।
সবশেষ মঙ্গলবার ঐশী রহমানকে গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে কারাগারে পাঠাতে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঐশীকে কারাগারে পাঠনোর দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, ঐশী এখন প্রাপ্তবয়স্কা এক নারী। কাজেই তাকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে না রেখে সরাসরি জেলে পাঠানো হোক। অন্যথায় এজন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।
নোটিশটি দুপুরে কুরিয়ারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম, পল্টন থানার ওসি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও টঙ্গীর জাতীয় কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়ে ঐশী, ছেলে ঐহী রহমান ও গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন তারা।
পরদিন পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে মাহফুজ-স্বপ্না দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান। বাবা-মা হত্যার ঘটনায় গত শনিবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর ঐশী ও গৃহপরিচারিকা সুমীকে গাজীপুরের কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন একই আদালত।