মার্কিন সরকার আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম বলেছেন, তার দেশ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা মার্কিন টিভি চ্যানেল এনবিসি নিউজকে মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অজুহাতে দেশটিকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সীমিত পরিসরে এ হামলা চালানো হবে এবং তা তিন দিন ধরে চলবে। তিনি আরো বলেন, সিরিয়ার সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করার পরিবর্তে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে একটি বার্তা পাঠানো হবে এ হামলার মূল লক্ষ্য।
এদিকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহারের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করে দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম বলেছেন, তার দেশ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে দামেস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবার পর সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেম বিবিসি অ্যারাবিককে ইংরেজি ভাষায় একটি সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যেসব দেশ বলছে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করা হয়েছে তারা পারলে তাদের জনগণের কাছে প্রমাণ দেখাক।
ওয়ালিদ আল মুয়াল্লেমের এসব বক্তব্য এসেছে মূলত যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে প্রস্তুতি সম্পন্ন করবার ঘোষণা দেবার পর।
দেশটি এখন অপেক্ষা করছে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশের।
হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জানাচ্ছেন সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে চলতি সপ্তাহেই একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা।
এদিকে, সিরিয়া সংকটে ব্রিটেনের ভূমিকা কি হবে সেই প্রসঙ্গে ভোটাভুটির জন্য আগামীকাল দেশটিতে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
ওদিকে, সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে হুশিয়ারি দিয়েছে চীন, রাশিয়া ও ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে যাচ্ছে তাতে হয়তো বিষয়টি শুধু সিরিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুরো অঞ্চলকেই যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলবে।