মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরে তাঁতিপাড়া মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক আলামিন (১৮) পালিয়ে গেছে। তবে পুলিশ তার দু সহযোগী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে। এরা হলো- মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ভবরপাড়া গ্রামের নাজমা (১৮) ও সালমা (২১)। নাজমা ও সালমা দুজনেই মেহেরপুর শহরের সনো নার্সিং হোমে সেবিকার কাজ করে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেহেরপুর পৌর ঈদগাপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তাদেরকে থানায় নেয়।
ধর্ষিতার স্বজনেরা জানান, গত মঙ্গলবার রাত ন’টার দিকে নাজমা ও সালমা রোগী দেখার নাম করে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে সনো নার্সিং হোমে নিয়ে যায়। এরপর শহরের গোরস্তানপাড়ার আলামিন ওই নার্সিং হোমের সামনে গেলে মেয়েটিকে তার সাথে মোটরসাইকেলযোগে শহরের মার্কাস মসজিদপাড়ার একটি আমবাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আলামিন ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অজ্ঞান অবস্থায় ওই দিন রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে আলামিনের দু সহযোগী নাজমা ও সালমা। তবে ধর্ষণের বিষয়টি তারা চেপে রাখে।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস শহীদ জানান, মেয়েটি এমনিতেই জ্ঞান হারাচ্ছে বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিষয়টি জানার পর প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে সে ধর্ষিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। মেহেরপুর সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম জানান, ধর্ষকের সহযোগী নাজমা ও সালমাকে থানায় নেয়া হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নাজমা ও সালমা থানা পুলিশকে জানিয়েছে তারা তিনজনই নিজ নিজ প্রেমিককে সাথে নিয়ে ঘুরতে যায়। একপর্যায়ে ওই বাগানে আলামিন ওই অপকর্ম করে বসে। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের এসআই ইকবাল জানান, রাতে নাজমা ও সালমাকে ধর্ষিতার মুখোমুখি করা হবে। কথার সত্যতা মিললে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে। আর কথার গরমিল হলে তাদেরকে ওই মামলায় আটক দেখানো হবে।