মাথাভাঙ্গা অনলাইন: বরিশালের মুলাদী থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ২২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে গাছুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার আতাহারউদ্দিনের পইক্ষা হোসনাবাদ গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন মরাজানা, রেনু, স্বর্ণালী হামিদার, রাফসানা, রোকেয়া, রাজিয়া, আফরোজা, সুমি, করুনা, রুনা, আফসানা, নিরু, আফিয়া, নুপুর, জাহানারা, সিমু, এলিজা, কানিজ, তানিয়া, তাহমিনা, সুবর্না ও আয়শা। স্বর্ণালী ছাড়া আটককৃতরা গাছুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানায় পুলিশ। তারা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ছাত্রী সংস্থার কর্মীদের গ্রেফতারের খবর পেয়ে গৌরনদী সার্কেল এএসপি মো. কামারুজ্জামান মুলাদী থানা পরিদর্শন করেছেন।
বরিশালের পুলিশ সুপার মো. এহসানউল্লাহ জানান, ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার জন্য হোসনাবাদ গ্রামে জামায়াতের সেক্রেটারি আতাহারউদ্দিনের বাড়িতে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। সেখান থেকে ২২ জনকে পুলিশ আটক করে। তাদের কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির আদর্শের বিভিন্ন পুস্তিকা এবং ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর, পাশবিক নির্যাতনের প্রামাণ্য চিত্র’ শীর্ষক একটি সিডি উদ্ধার করা হয়েছে।
মুলাদী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচি নিতে ছাত্রী সংস্থার একদল কর্মী জামায়াত নেতার বাড়িতে মিলিত হয়েছিল। পুলিশ খবর পেয়ে সেখান থেকে ছাত্রী সংস্থার ২২ কর্মীকে আটক করে।
ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার আতাহারউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশি অভিযানের আগেই পালিয়ে যায়। তবে গ্রেফতারকৃতরা দাবি করেছেন তারা সেখানে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে মিলিত হয়েছিলেন।
এদিকে, মুলাদী উপজেলায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেতাকর্মীদের আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের মুক্তির দাবি করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর জামায়াত।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতারা বলেন, ইসলামী ছাত্রী সংস্থা কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আদর্শবাদী এ সংগঠনটি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় এদেশের ছাত্রীদের মধ্যে ইসলামের সুমহান আদর্শের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম বিদ্বেষী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী দ্বীনদার ও পর্দানশীন এ ছাত্রীদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে আটক করেছে।
জামায়াত নেতারা অবিলম্বে আটক ইসলামী ছাত্রীসংস্থার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
বিবৃতি দাতারা হলেন বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল, সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, পূর্ব জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুল জব্বার, সেক্রেটারি ড. মাহফুজুর রহমান, পশ্চিম জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি আজিজুর রহমান অলিদসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।