দর্শনা অফিস: মৃত্যুর দূয়ার থেকে জীবন ফিরে পেলেন রাজবাড়ির আমিন নামের এক যুবক। প্রেমে প্রতারিত হয়ে মনের দুঃখে বাড়ি ছেড়ে দর্শনায় এসে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করে। বিষপান করার পর বাঁচার ইচ্ছা জাগে আমিনের। নির্জন মাঠে বাঁচার জন্য চিৎকার শুরু করে। দীর্ঘসময় চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে আপন ঠিকানায় ফিরেছেন আমিন।
জানা গেছে, গতপরশু সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দর্শনা পৌর শহরের দক্ষিণচাঁদপুর মুক্তজোল নির্জন মাঠের পাঠক্ষেত থেকে এক যুবকের বাঁচাও বাঁচাও আত্মচিৎকারে মহল্লাবাসী ছুটে যায় সেখানে। ২০/২২ বছরের যুবক নিজেকে বাঁচানোর জন্য কাকুতি-মিনতি করছিলেন। বিষপান করেছে বলে স্বীকার করেই যুবক নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করতে থাকেন মহল্লাবাসীর কাছে। সে সময় যুবক আমিন তার নাম পরিচয় দিতে না পারলেও স্পস্টভাবে স্বীকার করছিলো বিষপানের কথা। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকা বিক্রয় প্রতিনিধি শিলন ও মহল্লাবাসী যুবককে একটি বৃদ্ধ ব্যক্তির ভ্যানে দায়সারাভাবে তুলে দেয়। বৃদ্ধ ভ্যানচালক ঘটনাস্থল থেকে দর্শনা হল্টস্টেশনে পৌঁছে দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ সময় দৈনিক মাথাভাঙ্গার পক্ষ থেকে হারুন রাজু ও হানিফ মণ্ডল যুবক আমিনের চিকিৎসার জন্য ছুটে যান। প্রথমে তাকে নেয়া হয় দর্শনা পুরাতন বাজারের ডা. জেবর আলীর কাছে। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ও করিমন ভাড়াসহ প্রয়োজনীয় খরচের ব্যবস্থা করা হয় দৈনিক মাথাভাঙ্গার দর্শনা ব্যুরো অফিসের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায়। হাসাপাতালে দীর্ঘসময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন আমিন। আমিন সুস্থ হয়ে জানিয়েছেন তার নাম পরিচয়। আমিন রাজবাড়ি জেলা সদরের দাতষি গ্রামের জয়নুদ্দিনের ছেলে। সে তার ফুফাতো বোনের সাথে প্রেমসম্পর্কে প্রতারিত হয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। সে লক্ষ্যে গত রোববার সন্ধ্যায় ট্রেনে চড়ে রাত ২টার দিকে দর্শনা হল্টস্টেশনে পৌঁছান। ট্রেন থেকে নেমে অজান্তে ঢুকে পড়ে নির্জন মাঠে। মাঠের একটি পাটক্ষেতে বসেই আমিন দু বোতল বিষপান করে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ন’টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দরিদ্র পুনর্বাসন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আভা ফার্মেসির মালিক ওষুধব্যবসায়ী মানিকুজ্জামান তার সংস্থার পক্ষ থেকে আমিনকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন।