মাথাভাঙ্গা অনলাইন : অভিনেত্রী মিতানূর আত্মহত্যা করেছেন বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে। পুলিশও বলছে, তদন্তে আত্মহত্যার বাইরে কিছু পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে নিহতের বাবা ফজলুর রহমান, স্বামী শাহানূর রহমান রানার অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতনেই অভিনেত্রী মিতানূরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী হিসেবে শাহানূরের বিচার হওয়া উচিত।
সম্প্রতি মিতানূরের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেয়া হয়। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট গুলশানা থানা পুলিশকে প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং মিতানূরের লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ এই রিপোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিতানূরের মৃত্যুর কারণ ‘আত্মহত্যা জনিত’।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জাস্ট নিউজকে বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। রিপোর্টে বলা হয়, আত্মহত্যা জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও নিহতের স্বামী শাহানূরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী হিসেবে অভিযোগ থাকায় তাকে ছাড়াও সন্দেহভাজন অন্যদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনো আমরা তার ওপর নজরদারী রেখেছি। আমাদের তদন্ত শেষ হয়নি।
মিতানূরের বাবা ফজলুর রহমান অভিযোগ, শাহনূরের সঙ্গে মিতার প্রায়ই ঝগড়া হতো। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এর আগে মিতা আরো ২ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। স্বামীর অত্যাচার, নির্যাতনের ফলে মিতার মৃত্যু ঘটেছে।
ঘটনার দিন পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের আলামত ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়। সেসময় পুলিশ, ডিবি ও সিআইডিসহ একাধিক গোয়েন্দা টিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অপরদিকে, মিতানূরের মৃত্যু আত্মহত্যা বলতে নারাজ নাট্যাঙ্গনের কর্মীরা। তারা বলছেন, মানসিক নির্যাতন করে তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়া হয়েছে। এজন্য সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুও পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই সকালে রাজধানীর গুলশানের বাসার ড্রয়িং রুমের সিলিংফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় অভিনেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মিতানূরের (৪২) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।