খাইরুজ্জামান সেতু/উজ্জ্বল মাসুদ: মেয়েটা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী, আর ছেলেটা? সেনেটারি মিস্ত্রির কাজ করলেও বিয়ের বয়স হয়নি, অর্থাৎ ২১ বছর পোজেনি। এরই মাঝে এরা লাইলী-মজনুর প্রেমকাহিনীকে হার মানাতে একজন আরেকজনের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত দুজনেরই গতরাতে ঠাঁই হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়।
প্রেমিকা গতকাল রোববার বিকেলে তার প্রেমিক খসরুদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সাদেক আলী মল্লিকপাড়ায় গিয়ে ওঠে। খসরু তার প্রেমিকাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতেও চায়। বাদ সাধে উভয় পরিবারের অভিভাবকেরা। শেষ পর্যন্ত নালিশ গড়ায় থানায়। পুলিশ গতকাল দুজনকেই থানায় নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে। না, দুজনই নাছোড় বান্দা। একজন আর একজনকে ছেড়ে যাবে না। ওরা গোপনে বিয়েও করেছে বলে দাবি তুলেছে। বলেছে, পলাশপাড়ার আকরাম কাজির সহযোগী হালিম কাজী আমাদের বিয়ে পড়িয়েছে কাগজ দেয়নি। পুলিশ এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার পাশাপাশি, দুজনকেই গতরাতে বুঝিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফেরার কথা বলে। মেয়ে ও ছেলে পুলিশের কোনো কথাই যেমন কান দেয়নি, তেমনই এলাকার জনপ্রতিনিধি খোকা বারবার তাদের ফেরাতে চাইলেও তাতে সফল হননি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার দরিদ্র রমজান আলীর ছেলে খসরু (১৮) সেনেটারি মিস্ত্রির কাজ করে। অপরদিকে সাদেক ফিরোজ রোড এলাকার বাসিন্দা টাইলস মিস্ত্রির মেয়ে পড়ে আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তার সাথে পরিচয় হয় খসরুর। প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল দুপুরে স্কুলছাত্রী ওঠে তার প্রেমিক খসরুর বাড়িতে। খসরু তার প্রেমিকাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলেও তার অভিভাবকেরা যেমন বাদ সাধে, তেমনই কন্যার পিতাপক্ষ কন্যার অল্প বয়সের কথা উল্লেখ করে ফোঁসলানোর অভিযোগ তোলে। এ নিয়ে দু পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডাও বাধে। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে পুলিশ সাদেক আলী মল্লিকপাড়া থেকে ছেলে ও মেয়েকে পিকআপে তুলে থানায় নেয়। গতরাতে পুলিশ বলেছে, উভয়েরই বয়স বিবেচনা করে বোঝানোর চেষ্টাকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তা না হলে আদালতে সোপর্দ করে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপরই ওদের ছেড়ে দিতে হবে।