মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা সদরের শোলমারী গ্রামের মিঠুন হত্যার অন্যতম আসামি সদর উপজেলার তেরঘারয়া গ্রামের নবিছদ্দিন ভারতে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি নবিছদ্দিনকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্নসূত্রে খবর পাওয়া গেছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে বা আদৌ সে মারা গেছে কি-না এ নিয়ে যতেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যারাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলমারী গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে কলেজছাত্র মিঠুনকে বাড়ি থেকে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে খুন করে গ্রামের পাশের মাঠের একটি পেঁয়াজের ক্ষেতে ফেলে রেখে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওইদিন রাত ৮টার দিকে কে বা কারা মোবাইলফোনে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলমারী গ্রামের নতুনপাড়ার কাতার প্রবাসী কুরবান আলীর ছেলে কলেজছাত্র মিঠুনকে (২২) ডাক দেয়। মিঠুন তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বাইরে যায়। এরপর থেকে আর বাড়িতে ফেরেনি। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের কৃষকরা পার্শ্ববর্তী গড়তলার মাঠে কাজ করতে যাওয়ার পথে সাবেক ইউপি সদস্য আশরাজুল ইসলামের পেঁয়াজের ক্ষেতে মিঠুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে মেহেরপুর থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট গ্রহণ শেষে লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে পাঠায়। পুলিশ আরো জানায়, ঘতকরা মিঠুনকে জবাই শেষে দু পায়ের রগ কেটে দেয় এবং তার গোপন অঙ্গ কেটে নিয়ে যায়। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনের সিম খুলে নিয়ে সেট লাশের পাশে ফেলে রেখে যায়। ওই ঘটনায় মিঠুনের পিতা কোরবান আলী বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নবিছদ্দিনকে ৩ নং আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম জানান,বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এর সত্যতা পায়নি। এ মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কোনো দিন মামলার চার্জশীট দাখিল করা হবে।