ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দু ভাইসহ তিন শিশুর মৃত্যু

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে দু ভাইসহ তিনজনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌর সভা সংলগ্ন পারফলসী গ্রামের সহোদর জুয়েল ও উজ্জ্বলের ছেলে হৃদয় (৪) ও টনি (সাড়ে ৪) বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে খেলতে নেমে পিতা-মাতার আদরের বাঁধন ছিড়ে চিরতরে হরিয়ে যায়। এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে পারফলসী গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিমপাড়াতে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে। দিনমজুর পিতার সন্তান হৃদয় ও টনি মসজিদভিত্তিক শিশু মক্তবে বই হাতে যাতায়াত করতো। ঘটনার দিনে বাবা বাড়ির বাইরে শ্রম বিকিকিনির কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং মায়ের সতর্ক আঁখির আড়ালে দু ভাই সমবয়সীদের সাথে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। সেখান থেকে কোনো এক ফাঁকে মানিক জোড়ের মতো ভাই হৃদয় ও টনি বাড়ির পাশে পানি ভর্তি গর্তে খেলতে নামে। কিন্তু গর্ত ভর্র্তি পানিতে নেমে তারা আর কিনারায় ফিরতে না পেরে সকলের অজান্তে পানির গভীরে হারিয়ে যায়। হৃদয়ের মা জেসমিন আদরের একমাত্র সন্তানকে না পেয়ে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের ডোবাতে নিজ সন্তানের মৃতদেহ আঙ্শিক ভাসতে দেখে পানি থেকে তাকে উদ্ধার করতে গেলে দেবরের ছেলে টনির মৃত দেহও হাতে বাধে। এ সময় দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সন্তান হারা দু মায়ের আহাজারিতে চারিদিকের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এলাকার শ শ নারী পুরষ নিষ্পাপ শিশু দুটিকে এক চৌকিতে চিরনিদ্রায় শায়িত থাকতে দেখে অশ্রূ সজল হয়ে পড়ে। এলাকাতে চলছে শোকের মাতম। বাদ আছর জানাজা শেষে হৃদয় ও টনির মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এছাড়া শৈলকুপা উপজেলার শহীদ নগর গ্রামের পানিতে ডুবে ফাতেমা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ফাতেমা মায়ের সাথে শহীদনগর গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো।