‘ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট’ এ স্লোগানের পর বলা হলো- একটি হলেই ভালো হয়, দুটি হলে আর নয়’ দেশের বাস্তবতার আলোকে স্লোগান দুটির গুরুত্ব অপরিসীম।
এ স্লোগানই শুধু নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণে সচেতন ও দায়িত্বশীল করতে দেশে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এরপরও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উপকরণ বিতরণের পাশাপাশি গ্রহণে সহায়তাও করা হয়। এরপরও দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল হচ্ছে বলে ধরে নেয়া যায় না। অবশ্য জনসংখ্যা অনুপাতে চক্রবৃদ্ধির বিষয়টি সামনে মেলে ধরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের যুক্তিতে সফল বলে মেনে নিতেই হয়। এর মধ্যে যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে তা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্মহার দেখার পর নির্দিধায় বলা যায়। যে মহল্লায় জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে সে এলাকায় কর্মরতর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। তবে পূর্বের তুলনায় জন্মনিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা যে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না। এরপরও সমাজের কিছু চিত্র হতবাক করে। ছেলের আশায় পরপর ৬ মেয়ের মুখ দেখা প্রসূতির সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই। তাকে সচেতন করতে দায়িত্বে অবহেলাই শুধু হয়নি, কন্যা সন্তান খেলনা নয়। কন্যা সন্তানও সব কাজে সক্ষম। সরকার নারী শিক্ষায় সর্বাধিক সুবিধা নিশ্চিত করেছে। ফলে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে তাকে অবহেলা করা কোনোভাবেই উচিত নয়। যেহেতু ছেলের আশায় অনেক কন্যা সেহেতু ওই সন্তানই হয়ে উঠেছে বোঝা। এজন্য তা অন্যের কোলে তুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দায়িত্বশীলদের খাটো করে দেখা উচিত নয়। বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল করতে উপকরণ বিতরণের পাশাপাশি দরকার সর্বস্তরে সচেতনতার আলো ছড়ানো। যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা রোধে বা নিয়ন্ত্রণে বাধ্যবাধকতা দরকার।