মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যদিও বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র এ মুহূর্তে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না তবুও দেশটির সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্রুজ মিসাইল হামলার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। মার্কিন বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডিম্পসে হোয়াইট হাউসে জরুরি বৈঠকে বারাক ওবামার সাথে সিরিয়ায় সম্ভাব্য হামলার ছক তুলে ধরবেন বলে তার রিপোর্টে জানিয়েছে। এদিকে সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে গত বুধবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কি-না তার তদন্তে জাতিসংঘের একটি দল গতকাল দেশটিতে পৌছেছে। জাতিসংঘের নিরস্ত্রীরকরণ প্রধান অ্যাঞ্জেলা কেইন এ দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা রাসায়নিক হামলায় সহস্রাধিক লোকের মৃত্যুর খবর খতিয়ে দেখবেন। সূত্র জানায়, সিরিয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন মার্কিন রণতরীগুলোর একটিকে সিরিয়ামুখী করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ইঙ্গিত পেলেই সিরিয়ায় হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী এ রণতরী। বিদ্রোহীদের দমাতে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। সেখানে মোতায়েন ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে তিনটির জায়গায় চারটি করা হবে। ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মাহান এর মোতায়েনের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পর এটি ভার্জিনিয়ার ঘাঁটিতে ফিরে আসছিল।