স্টাফ রিপোর্টার: যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, সে দল তখন অধিকারকে হয়রানি করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদলে থাকাকালীন অধিকারের তথ্য ব্যবহার করেছে। এখন অধিকারের তথ্য ব্যবহার করছে বিএনপি। গতকাল মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে বেআইনিভাবে আটক করে, রিমান্ডে নিয়ে এবং জেলে পাঠিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, মানবাধিকার সংস্থা ও এর কর্মীদের প্রতি সরকারের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই। অধিকার কার্যালয় ও এর কর্মীরা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। অধিকার বলছে, মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য প্রতিটি সরকারের আমলে রাষ্ট্র কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়েছে অধিকার। তবু অধিকার তার দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি। বর্তমানের আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলে থাকাকালে অধিকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনসংক্রান্ত তথ্য, উপাত্ত, প্রতিবেদন সংগ্রহ করে তাদের কাজে লাগিয়েছে। ২০০৬-০৭ সালে মাইনাস টু ফর্মুলার মাধ্যমে দু নেত্রীকে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় জেলবন্দি করলে অধিকার তার প্রতিবাদ করে। কারণ অধিকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাস করে। বর্তমানে বিরোধী দলও অধিকারের তথ্য-উপাত্ত ও তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন তাদের কাজে লাগাচ্ছে। এই থেকে এটিই প্রতীয়মান হয়, অধিকারের তথ্য-উপাত্ত দলমত-নির্বিশেষে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্য।