ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: পাটের লাভজনক মূল্য না থাকায় কৃষকদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাভজনক মূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। পাটকে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ বলা হয়। পাট দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাট রফতানি করে সরকার প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পাট উৎপাদন করে কৃষকেরা ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। দিন দিন জড়িয়ে পড়ছে ঋণের বোঝায়। মরসুমের আগে পাটের দাম ১৪/১৫শ টাকা মণ থাকলেও মরসুম শুরুর সাথে সাথে পাট বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায়। ভরা মরসুমে পাটের দাম আরও কমে আসবে বলে কৃষকদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে চাষ ৪টি ৮শ টাকা, মই বাবদ ২শ টাকা, বীজ ১শ টাকা, সেচ বাবদ ৫শ টাকা, নিড়ানি ২০টি কামলা ৪ হাজার টাকা, পাট বহনের গাড়ি ভাড়া ৮শ টাকা, পাট কাটা, বাঁধা ও জাগ দেয়া বাবদ ১০টি কামলা ২ হাজার টাকা, পাট ধোয়া ও পাট শুকানো ৮টি কামলা ১ হাজার ৬শ টাকা, ফসফাইড সার ২০ কেজি ৬শ টাকা, ইউরিয়া সার ২ কেজি ৪শ টাকা, পটাশ সার ১০ কেজি ১শ ৫০টাকা। জমির লিজ ৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন খরচ হয় ১৬ হাজার ৮শ ৫০টাকা। সেখানে একবিঘা জমির গড় ১০ মণ হারে ৯শ টাকা মণ পাটের মূল্য ৯ হাজার ৫শ টাকা, পাটখড়ি ২ হাজার টাকা। সর্বমোট আয় হয় ১১ হাজার ৫শ টাকা। এ হিসাবে দেখা যায় কৃষকদের বিঘা প্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫/৬ হাজার টাকার মতো। তবে কোনো কোনো এলাকায় এর খরচ আরও বাড়তে পারে। এ অবস্থায় পাটের ২ হাজার টাকা মণ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে এলাকার কৃষকেরা।