স্টাফ রিপোর্টার: নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে নয়টিই বন্ধ ছিল। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে বন্ধ হওয়া স্থলবন্দরগুলো সচল করেছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর আরো ১০টি নতুন বন্দর চালুর কাজ শুরু করেছি। ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দৌলতগঞ্জ বন্দর চালু করতে পেরে আমরা খুশি।’
শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর পুনরায় চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ খুব সহজে অল্প সময়ে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগর, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. শফিকুল আযম খান চঞ্চল, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান মোয়েজ্জদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক ভোলানাথ দে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি কমাডিং অফিসার লে. কর্নেল গাজী মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল রহিম শাহ্ চৌধুরী, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জীবননগর উপজেলাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হওয়ায় জীবননগর উপজেলা মহাসড়ক জুড়ে বিপুল পরিমাণ গেট ও তোরণ নির্মাণ করা হয়।
উল্লেখ্য দৌলতগঞ্জ থেকে ভারতের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দূরত্ব মাত্র ৪৪ কিলোমিটার। অপরদিকে বেনাপোল থেকে ১৪৪ ও সোনামসজিদ থেকে ৩১৬ কিলোমিটার।