সংবিধান মেনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন করাহবে। জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী মাসে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল কোনো প্রস্তাব দিলে সরকার তাদেরস্বাগত জানাবে।এরকয়েক ঘণ্টা পর বিকালে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন দলের মুখপাত্র।নয়াপল্টনেদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের এক যৌথ সভারপর তিনি বলেন,‘নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আমরা আন্দোলনে আছি। এই লক্ষ্যেরাজধানীসহ সারাদেশের থানা ও মাঠ পর্যায়ে কর্মীসভা হবে। এরপর আগামী ঈদুল আজহা শেষে ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিরোধী দলীয় নেতা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণাকরবেন।’ ঢাকারমহাসমাবেশেরদিনক্ষণ পরে জানানো হবে বলেও জানান ফখরুল।নয়াপল্টনের এই যৌথ সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগরআহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্মমহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, যুবদল সভাপতিসৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।সরকারসংবিধানেরপঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই তা পুনর্বহালে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও তাদের শরিকরা।সংবিধানঅনুযায়ী, চলতি বছরের শেষভাগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচনহবে।অবশ্য এতে রাজি নয় বিএনপি।
যৌথসভারসিদ্ধান্ত
এদিকেযৌথসভায় ঢাকা মহানগরের ২৫টি স্থানে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত যৌথ কর্মীসভাঅনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর ৪৯টি থানা ও ১০০টি ওয়ার্ডেও অনুরূপকর্মীসভা করবে মহানগর বিএনপি।দলেরভারপ্রাপ্তমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্দলীয় সরকারের দাবিতেবিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে ৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী, ১৫ সেপ্টেম্বররংপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী, ২২ সেপ্টেম্বর খুলনা, ২৯ সেপ্টেম্বর বরিশালএবং ৫ অক্টোবর সিলেটে জনসভা হবে। এসব জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য রাখবেন।তবেচট্টগ্রামেরজনসভার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর যথার্থই বলেছেন। কিন্তু ওনাদের আন্দোলনে কোনো জোর নেই কেন?