স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হলের সামনের তিন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। আর শিবিরের দাবি নিজের হাতে থাকা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে আহত হয়েছেন তুহিন। এ ঘটনার পর পরই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক হলোগুলোর প্রধান ফটকগুলো বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান নিয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমির আলী হলে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠান চলছিলো। অনুষ্ঠান শেষে তুহিন মাদার বখশ হলে ফিরছিলেন। শহীদ জোহা হলের সামনের তিনরাস্তায় পৌঁছুলে তখন দুটি মোটরসাইকেলে চেপে মুখোশ পরে দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ফেলে ডান হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। তুহিনের চিৎকার শুনে হল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা বেরিয়ে আসার আগেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে পালিয়ে যায় তারা। পরে দলীয় কর্মীরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাস দখলে মরিয়া হয়ে শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে রগ কেটে দিয়েছে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অস্বীকার করে রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন জানিয়েছেন, তুহিনের হাতে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটার কারণে তার হাত ও পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেছেন, ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ দিয়ে শির্থীদের নিরাপত্তা দেয়া হবে। আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য শির্থীদের অনরোধও জানিয়েছেন প্রক্টর।
এদিকে তুহিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করে। রাত ১১টার পর বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিলসহ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টার পর অবরোধ তুলে টিএসসি’র দিকে মিছিল বের করা হয়। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।