দামুড়হুদা উজিরপুরে তোরাপ হত্যা মামলা : ময়নাতদন্তে স্ট্রোক : নিহতের পরিবারে কান্নার রোল : আপিলের প্রস্তুতি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উজিরপুরে আলোচিত তোরাপ আলী হত্যামামলার ৮ মাসের মাথায় থানা পুলিশ কর্তৃক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই ইব্রাহিম ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে তোরাপ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় মর্মে গত বুধবার তিনি বিজ্ঞ আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে বাদী নিহত তোরাপের স্ত্রী জেসমিন এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেইসাথে পুনঃতদন্তের জন্য আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উজিরপুর খলিফাপাড়ার ইছা হক আলীর দু ছেলে শরিফুল ও সাইফুলের সাথে বাড়ির উঠোনে দুটি পরিবারের মাঝে তীব্র সংঘর্ষে আহত হন তোরাপ আলী, তার স্ত্রী জেসমিন ও ছেলে হাবিবুর। ৩ জনকেই মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তোরাপ আলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন স্ত্রী জেসমিন বাদী হয়ে নিহত তোরাপের চাচাতো ভাই ইছাহাক আলীর দু ছেলে শরিফুল ও সাইফুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাতেই দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত তোরাপের স্ত্রী জেসমিন জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও অদৃশ্য কারণে থানা পুলিশ কোনো আসামিকেই গ্রেফতার করেনি। বরং আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছিলো। ফলে দীর্ঘ ৮ মাস আমাকে এক অজানা আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়েছে। আমি এ রিপোর্ট মানি না। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং পুনঃতদন্তের জন্য আপিল করার কথা জানান।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম জানান, তোরাপ আলী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সম্প্রতি হাতে পাওয়ার পর তার ওপর ভিত্তি করেই এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।