দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পে হাজির হলো মাদক বিক্রেতারা : করলো মাদক বিকিকিনি না করার অঙ্গীকার

দর্শনা অফিস: দর্শনাসহ আশপাশ এলাকার চিহ্নিত মাদকস্পট ও নেশাখোরদের মধ্যে বিজিবি আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিজিবির মাদকবিরোধী লাগাতার ঝটিকা অভিযানে কিছুটা হলেও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মাদক বিক্রেতা ও নেশাখোরদের বহুল আলোচিত আকন্দবাড়িয়া, সিংনগর, রাঙ্গিয়ার ঈশ্বরচন্দ্রপুর ও দক্ষিণচাঁদপুর। যেখানে ছিলো অসংখ্যা মাদকের স্পট। যার কারণে প্রতিদিনি প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য বিকিকিনি হচ্ছিলো দেদারছে। বিজিবির অভিযানে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা আটক হয়েছে। এছাড়া অনেকেই গাঢাকা দিয়েছে। কেউ কেউ বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকদ্রব্য বিকিকিনি করলেও তারা রয়েছে চরম আতঙ্কে। এদিকে বেশ কয়েকদিন থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাদককারবারীরা নিজেদের দোষ স্বীকার করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মাদকের সাথে জড়িত অর্ধশত মাদককারবারী বিজিবির কাছে নিজেদের সুধরে নেয়ার প্রতিশ্রুতিতে লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার পাঁচজন মাদককারবারী নিজেকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছে দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পে। সকাল ৯টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আশকার আলীর ছেলে আবুল হাসেম, শরীফুল, সাজ্জাদের স্ত্রী ফাতেমা, সানিরুলের স্ত্রী আলেয়া ও আকন্দবাড়িয়ার নায়েব আলীর স্ত্রী শিরিনা বেগম দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পে সশরীরে হাজির হন। এ সময় কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার খোরশেদ আলম খান, হাবিলদার জিল্লুর রহমান মাদকের কুফল সম্পর্কে ধারণা দিলে মাদকবিক্রেতারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেই এ অঙ্গীকার দিয়েছে। অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, মাদকের সাথে আর কখনো নিজেরা জড়াবে না, মাদক প্রতিরোধ বিজিবি-পুলিশের সহায়তা করবে। এছাড়া এরপর মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়লেও বিজিবি যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উপস্থিত ছিলেন- আ.লীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও রেজাউল করিম লিটন।