পর্যটকদের কাছে লাফিং গ্যাসভর্তি বেলুন বিক্রির অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল দুই থাই যুবক। চড়া দামে হাসির খোরাক বিক্রি করত তারা। এবার তারা নিশ্চয়ই বুঝেছে হাসিই সব রোগের ওষুধ নয়।
পাতায়ার একটি পর্যটন স্থানে পর্যটকদের কাছে নাইট্রাস অক্সাইড তথা লাফিং গ্যাসভর্তি বেলুন বিক্রির অপরাধে বুধবার তাদের আটক করে পুলিশ। নিয়ন্ত্রিত পদার্থ বিকিকিনির অভিযোগ আনা হয় ১৭ ও ১৯ বছর বয়সী এ দুই যুবকের ওপর। এ অপরাধে তাদের সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।
পাতায়ায় লাফিং গ্যাস স্থানীয়ভাবে ‘মজার বাতাস’ নামে পরিচিত। শ্বাস নেওয়ার সময় এ গ্যাস নাকে গেলে হাসির উদ্রেক ঘটায়।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাথা কমানোর জন্য এ গ্যাস বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে দাঁতের চিকিৎসায় এ গ্যাস বেশি ব্যবহৃত হয়।
যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে নাইট্রাস অক্সাইডের সচরাচর ব্যবহার বৈধ হলেও থাইল্যান্ডে এর সচরাচর ব্যবহার বৈধ নয়।
পুলিশ কর্মকর্তা কর্ণেল পাসকর্ন পাইকিত সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, চিকিৎসা আইনের অধীনে ওই যুবকের বিচার করা হবে। এ আইন অনুযায়ী নাইট্রাস অক্সাইড আমদানি ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।