গাংনী প্রতিনিধি: আইন লঙ্ঘন করে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে অবৈধভাবে হাট বসানো নিয়ে চলছে উত্তেজনা। রাজস্ব বিভাগ থেকে হাটের নির্ধারিত দুদিনের আগের দিনে বসানো হচ্ছে আরেকটি হাট। এতে হাট ইজারাদার সঙ্কটে পড়লেও ক্ষমতার দাপটে কিছুই করতে পারছে না।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ থেকে দেবীপুর গ্রামে হাট ইজারা নিয়েছেন ওই গ্রামের বাহার আলী। সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতি সপ্তার রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসানো হচ্ছে। সম্প্রতি একই গ্রামের সাবদার আলী, আলফাজ উদ্দীন, কাবরান আলী ও মমিদুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে বুধবার ও শনিবারে হাট সংলগ্ন জায়গায় আরেকটি হাট বসিয়েছেন। ইজারাদার বাহার আলীর ব্যবসায়িক সঙ্গী মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, গেলো পয়লা বৈশাখ থেকে এক বছরের ইজারা নেয়া হয়েছে দেবীপুর গ্রামের এ হাট। এর সাথে পাল্লা দিয়ে হাটের সাথেই মমিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত জায়গায় তারা মরিচের হাট বসিয়েছেন। এতে হাট মালিকেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সরকার নির্ধরিত হাটের আগের দিনে তারা হাট পরিচালনা করছেন। ফলে নির্ধারিত দিনে কেউ বেচাকেনা করতে আসছেন না। প্রভাবশালী কিছু লোকের হুমকির কারণে ইজারাদাররা অসহায় হয়ে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন হাটের ইজারাদার। রোজার মধ্যে অবশ্য অবৈধ এ হাটের দুজন মালিককে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে অবৈধ হাটের কার্যক্রম।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গতকাল দুপুরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ হাট পরিচালনাকারীদের একজন আলফাজ উদ্দীন গতরাতে জানিয়েছেন, হাটের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে ঈদগা উন্নয়নের জন্য এর আগে হাটের নির্ধারিত দিনের আগে মরিচ কেনাবেচা শুরু হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকালের হাট বসানোর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।