ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের নয়,

 

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের নয়,

 

 

নামটা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু সেখানে রাজত্ব ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের নয়, বিদেশিদের! বিশ্বাস হচ্ছে না? দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় গত সোমবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানটি দেখুন। ১৯৯২ সালের আগস্টে যখন নতুন আরেকটি ফুটবল মৌসুম শুরু হয় ইংল্যান্ডে, প্রথম দিন দলগুলোর প্রথম একাদশে খেলেছিলেন ১৭৭ জন ইংলিশ ফুটবলার, মোট ফুটবলারের যা ৭৩.১ শতাংশ। এই মৌসুমের প্রথম দিন এই সংখ্যাটা নেমে এসেছে ৭৪ জনে, শতকরা হিসাবে ৩৩.৬ ভাগ, ইউরোপের নামীদামি অন্য লিগগুলোর ঘরোয়া ফুটবলারের অনুপাতে যা সর্বনিম্ন! বিদেশিদের দাপট নয়তো কী!
প্রিমিয়ার লিগে ইংলিশ ফুটবলারদের আধিপত্য কমে যাওয়া কিংবা দলগুলোর বিদেশি ফুটবলারদের ওপর নির্ভরশীলতা সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ রয় হজসনকে। স্পেনে যেমন জাতীয় দলে বার্সেলোনা ফুটবলারদের দাপট, জার্মানিতে তেমনি বায়ার্ন মিউনিখের। ইংল্যান্ডের বেলায় কিন্তু এ রকম নির্দিষ্ট কোনো ক্লাবের নাম বলা যাবে না। পরাশক্তি প্রায় সব দলই বিদেশি ফুটবলারদের ওপর নির্ভরশীল। অন্য এক পরিসংখ্যান বলছে, দলবদলের এই মৌসুমে বড় দলগুলো এখন পর্যন্ত ৬১ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছে, এঁদের মাত্র ১২ জন ইংল্যান্ডের। বিদেশিদের দাপটে নিজেদের মেলে ধরার পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না স্থানীয় ফুটবলাররা। গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডকে হারানো ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের মাত্র তিনজন ফুটবলার খেলেছেন প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনে। ফলে জাতীয় দল গড়তে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কোচ হজসনকে। সীমিত পছন্দ থেকেই বেছে নিতে হচ্ছে তাঁকে। জাতীয় দলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সামগ্রিক এই পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ইংলিশ ফুটবল আসোসিয়েশনের (এফএ) ডিরেক্টর অব ফুটবল ডেভেলপমেন্ট স্যার ট্রেভর ব্রুকিংস, ‘প্রিমিয়ার লিগে আরও বেশি ইংলিশ ফুটবলারের প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’
বিষয়টি চিন্তিত হওয়ার মতো—এটা স্বীকার করেছেন প্রিমিয়ার লিগের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড স্কুডামোর। তবে এ রকম হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি দেখালেন এক অদ্ভুত যুক্তি, ‘এটা প্রিমিয়ার লিগের দোষ নয়। ইংল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ছয় কোটি আর ফুটবল খেলা হয় বিশ্বের ২১২টি দেশে।’ ওয়েবসাইট।