৩৫ হাজার টাকায় রফার অভিযোগ
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছে গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার নিঃসন্তান বৃদ্ধা রূপভান। গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা বাসটার্মিনাল মোড়ে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আনাড়ি হেলপারের নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাক চালানোর কারণে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ট্রাকমালিকের সাথে ৩৫ হাজার টাকায় ওই প্রাণহানির ঘটনা রফা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের দীপ্তি বাবুর ট্রাক (খুলনা-মেট্রো-ট-১১-০৯৫৮) আব্দুল ওহাব নামের গোবিন্দপুরের এক ড্রাইভার কুষ্টিয়া শহরের মালামাল আনলোড করে বেলা তিনটার দিকে আলমডাঙ্গায় ফেরে। আলমডাঙ্গায় পৌঁছে ড্রাইভার আব্দুল ওহাব বাড়িতে খেতে যায়। সে সময় তিনি গাড়ির হেলপার আলমডাঙ্গা ঠাকুরপাড়ার সুশান্ত কুমার পোদ্দারকে খালি ট্রাক আলমডাঙ্গা বাসটার্মিনালে রাখতে বলেন। ড্রাইভারের কথা মতো আনাড়ি হেলপার সুশান্ত কুমার পোদ্দার খালি ট্রাক দ্রুত গতিতে স্টেশনের সামনে দিয়ে টার্মিনালের দিকে চালিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টার্মিনাল মোড়ে এক বৃদ্ধাকে চাপা দেয়। নিঃসন্তান ওই বৃদ্ধা পাটকাঠির খড়ি নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাক ফেলে হেলপার পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। বিকেলেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। সে সময় ঘাতক ট্রাকটিও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ট্রাকের ড্রাইভার কিংবা হেলপার কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ট্রাকড্রাইভার ও হেলপারের নাম কেউই বলতে পারেনি। বিষয়টিকে অনেকেই পুলিশের রহস্যজনক আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন।
নিহত বৃদ্ধার পরিচয়: গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার মৃত সাদেক আলীর প্রথম স্ত্রী রূপভান খাতুন (৮০)। রূপভান খাতুন নিঃসন্তান হওয়ায় পরবর্তীতে সাদেক আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে। সে পক্ষে চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের সাথেই নিঃসন্তান বৃদ্ধা বসবাস করতো।
গতকাল বুধবার বিকেলেই ওই দুঃখজনক প্রাণহানির ঘটনা ৩৫ হাজার টাকায় ট্রাকমালিকপক্ষ বৃদ্ধার সৎ ছেলের সাথে রফা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে কারণে এ বিষয়ে কোনো মামলা হওয়ার আশঙ্কা নেয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।