মামুন কাইরুল: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত আলমডাঙ্গা আঠারখাদার দিনমজুর ফেলা মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ১৫ ঘণ্টার মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গতকাল ভোরে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই গত সন্ধ্যায় ফেলাকে নিজগ্রামে দাফন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটনো মোটরসাইকেল চালক আলমডাঙ্গা শ্রীরামপুরের পিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে জানিয়েছেন নিহত ফেলার নিকটজনেরা।
সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন বাড়াদী ইউনিয়নের আঠারখাদা গ্রামের মৃত ফকির চাঁদের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে ফেলা (৫০) গত রোববার সকালে আলমডাঙ্গায় যান। দুপুরে আলমসাধুযোগে ফিরছিলেন। বেলা ১টার পর জেহালার রোয়াকুলি গ্রামের নিকটবর্তী সেলিম চেয়ারম্যানের ইটভাটার কাছে পৌঁছুলে ফেলার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। সেখানে তিনি আলমসাধু চালককে থামতে বলেন। আলমসাধুটি থামার পর তিনি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে এসে ফেলাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে ফেলা গুরুতর জখম হন। মোটরসাইকেলের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোটরসাইকেল চালক তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলে সে আলমডাঙ্গার শ্রীরামপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে। তার নাম পিন্টু (৩০)। তবে ঘটনার পরপরই কৌশলে পিন্টু সটকে পড়ে। আহত জাহাঙ্গীর হোসেন ফেলাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফেলা মারা যান। গতকালই সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নিজগ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসী জানায়, ফেলা গ্রামের অতি দরিদ্র একজন দিনমজুর। তিনি ছিলেন ২ ছেলে ও ১ মেয়ের পিতা। ফেলার নিকটজনরা জানায়, ঘটনার পর শ্রীরামপুরের পিন্টু গা ঢাকা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।