ভারতের বিশেষ আদালতে মেয়ে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার চাইলেন বাবা নূর ইসলাম। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলায় গতকাল সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। ফেলানীর মামা আবদুল হানিফও সাক্ষ্য দেন। গতকাল সকালে কোচবিহার সার্কিট হাউস থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।কঠোর গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে কোচবিহার শহরের সোনারীতে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের বিশেষ আদালতে এই বিচারকাজ শুরু হয়েছে।গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে এই বিচার পর্ব। কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফেলানীর বাবা-মামা ও ফেলানীর পক্ষে কুড়িগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্রাহাম লিংকনকে সার্কিট হাউসে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগের দিন রোববার বিকেলে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে তাঁরা কোচবিহার যান। ভারত যাওয়ার পর থেকে বিএসএফের প্রহরায় তাঁরা ওই সার্কিট হাউসে অবস্থান করছেন।গতকাল সকালে বিএসএফের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছিলেন, বিচার কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের জানানো হবে। কিন্তু পরে আর তা জানানো হয়নি।তবে বিশেষ একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন ফেলানীকে গুলিবর্ষণকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। বিচারক ফেলানীর বাবাকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেমন আছেন। ফেলানীর বাবা ভালো আছেন বলে জবাব দেন। এরপর বিচারক বলেন, ‘আমরা ফেলানী হত্যার বিচার করব। আপনি নির্দ্বিধায় সে দিনের ঘটনা বলুন।’ ফেলানীর বাবা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে পাশের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। শুশ্রূষার পর সুস্থ হলে তাঁকে ফের আদালতকক্ষে আনা হয়। নূর ইসলাম কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ‘আজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে এ ভেবে যে, আমি কেন আগে সীমান্ত পার হতে গেলাম? ফেলানীকে আগে পার করলে হয়তো বেঁচে যেত আমার মেয়েটা।’ একই দিন ফেলানীর মামারও সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন জানান, অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যের পক্ষে আদালতে ফেলানীর বাবা ও মামাকে জেরা করেন সিন্ধু নামের একজন কৌঁসুলি ও তাঁর সহযোগী আনন্দ জয়োতি মজুমদার। এর আগে বিচারক তাঁদের জেরা করতে ওই দুজনকে অনুমতি দেন। ফেলানীর বাবা ও মামা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেন।
আব্রাহাম লিংকন আরও জানান, আদালত ৪৫ কুড়িগ্রাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক ও তাঁকে (আব্রাহাম লিংকন) বিচারকাজ পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেন। আজ মঙ্গলবার একই আদালতে একই সময় আবার বিচারকাজ শুরু হবে।
ভারতের বিশেষ আদালতে মেয়ে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারচাইলেন বাবা নূর ইসলাম। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতেনিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলায় গতকাল সোমবার ভারতেরপশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। ফেলানীর মামা আবদুলহানিফও সাক্ষ্য দেন। গতকাল সকালে কোচবিহার সার্কিট হাউস থেকে কড়ানিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।কঠোর গোপনীয়তা ও কড়ানিরাপত্তার মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে কোচবিহার শহরের সোনারীতে বিএসএফ ১৮১ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের বিশেষ আদালতে এই বিচারকাজ শুরু হয়েছে।গতকালবেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলেএই বিচার পর্ব। কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।বিকেল সাড়ে পাঁচটায়ফেলানীর বাবা-মামা ও ফেলানীর পক্ষে কুড়িগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্রাহাম লিংকনকে সার্কিট হাউসে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগের দিনরোববার বিকেলে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে তাঁরা কোচবিহারযান। ভারত যাওয়ার পর থেকে বিএসএফের প্রহরায় তাঁরা ওই সার্কিট হাউসেঅবস্থান করছেন।গতকাল সকালে বিএসএফের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবলেছিলেন, বিচার কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা সাংবাদিকদের জানানো হবে।কিন্তু পরে আর তা জানানো হয়নি।তবে বিশেষ একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকালআদালতে উপস্থিত ছিলেন ফেলানীকে গুলিবর্ষণকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ।বিচারক ফেলানীর বাবাকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেমন আছেন। ফেলানীরবাবা ভালো আছেন বলে জবাব দেন। এরপর বিচারক বলেন, ‘আমরা ফেলানী হত্যার বিচারকরব। আপনি নির্দ্বিধায় সে দিনের ঘটনা বলুন।’ ফেলানীর বাবা ঘটনার বর্ণনাদিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়েপড়েন। তখন তাঁকে পাশের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। শুশ্রূষার পর সুস্থ হলেতাঁকে ফের আদালতকক্ষে আনা হয়। নূর ইসলাম কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ‘আজ আমারখুব কষ্ট হচ্ছে এ ভেবে যে, আমি কেন আগে সীমান্ত পার হতে গেলাম? ফেলানীকেআগে পার করলে হয়তো বেঁচে যেত আমার মেয়েটা।’ একই দিন ফেলানীর মামারওসাক্ষ্য নেওয়া হয়।
কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকনজানান, অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যের পক্ষে আদালতে ফেলানীর বাবা ও মামাকে জেরাকরেন সিন্ধু নামের একজন কৌঁসুলি ও তাঁর সহযোগী আনন্দ জয়োতি মজুমদার। এরআগে বিচারক তাঁদের জেরা করতে ওই দুজনকে অনুমতি দেন। ফেলানীর বাবা ও মামাআদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেন।
আব্রাহামলিংকন আরও জানান, আদালত ৪৫ কুড়িগ্রাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক ও তাঁকে (আব্রাহামলিংকন) বিচারকাজ পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেন। আজ মঙ্গলবার একই আদালতে একই সময়আবার বিচারকাজ শুরু হবে।