স্টাফ রিপোর্টার: ঘর খুলতে বাধ্য করার এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেই চিৎকারের মুখে পড়ে পাকড়াও হয়েছে ডাকাতদলের এক সদস্য। গতপরশু রাতে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার গোকুলখালীর হারুনের বাড়িতে ডাকাতির সময় পুলিশ-জনতার প্রতিরোধের মুখে একজন ধরাপড়লেও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
ডাকাতদলের আটক সদস্য ওহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী ভালাইপুর মুচিপাড়ার সিদ্দিক আলীর ছেলে। তাকে আটকের পর প্রথমে গোকুলখালী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে নেয়া হয় আলমাডাঙ্গা থানায়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়নের গোকুলখালী পুলিশ ফাঁড়ির অদূরেই মসলেম উদ্দিনের ছেলে হারুনের বাড়ি। গতকাল সোমবার ভোররাতে হারুনের বাড়িতে একদল ডাকাত প্রবেশ করে। ঘরের দরজা খুলতে বলে দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় ডাকাতদল দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির দু সদস্য আরিফুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামও ছুটে আসেন। তারা ডাকাতদলে পিছু নেন। ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও ভালাইপুর গ্রামের মুচিপাড়ার সিদ্দিকের ছেলে ওহিদুল ইসলাম (৩০) ধরা পড়ে। তাকে গণপিটুনি শেষে দেয়া হয় পুলিশে। ওহিদুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ধারালো অস্ত্র (রামদা) ও ঘরের দরজা ভাঙার অস্ত্র লোহার পাতি। গতকালই ওহিদুলকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেছে, মাঝে মধ্যেই এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় উঠতী বয়সের কিছু যুবক এ সব কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। গত কয়েক দিনে আগে ভালাইপুর গ্রামের ২০টি বাড়িতে গণচুরির রেকর্ড ও একটি বাড়িতে কিছু না পেয়ে তার রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার নজিরও গড়ে তারা। এলাকাবাসীর দাবি, এ সব অপরাধ কর্মকাণ্ডের মূলেই রয়েছে মাদকের ছোঁয়া। এখানে মাদকের প্রায় সব আইটেমই পাওয়া যায়। এলাকায় পুলিশি অভিযান জোরদার করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করা আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।