বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এতে কনের পিতা-মাতা, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ঘটককে ১ হাজার টাকা করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেইসাথে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে মেয়ের পিতা-মাতারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মুচলেকা দেয়। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তারানীপুর গ্রামে এবং দুপুর ১টার দিকে জয়রামপুর নোয়াখালীপাড়ায় কনের পিতার বাড়িতে আলাদা আলাদাভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদ হোসেন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার তারানীপুর গ্রামের কৃষক ছমির উদ্দিনের ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামে এবং জয়রামপুর নোয়াখালীপাড়ার আবুল খায়ের ওরফে কালুর দামুড়হুদা আ. ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষে পড়ুয়া মেয়ের সাথে ঝিনাইদহ জেলার গৌরীনগর গ্রামে গতকাল সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। বরপক্ষ তখনও এসে পৌঁছেনি। এরই মধ্যে বিষয়টি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানতে পারেন, উপজেলার পৃথক দু স্থানে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং এক কনের জন্মসনদ দেখাতে না পারলেও অপর কনের জন্মসনদে ১৬ বছর বয়স হওয়ায় তিনি উভয় কনের পিতার বাড়িতে বিয়ের প্যাণ্ডেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আয়োজন করার অপরাধে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ১৯২৯’র ৬ ধারায় উভয় মেয়ের পিতা-মাতাকে ১ হাজার টাকা করে, ঘটক কুড়ুলগাছি গ্রামের আজগার আলীর ছেলে নুর আলমকে ১ হাজার টাকাসহ তারানীপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শমসের আলী মিথ্যা তথ্য দেয়ায় তাকেও ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেইসাথে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের পিতা-মাতার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মুচলেকা দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচারনাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই এমদাদ হোসেন, উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।