মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের আমদহ জামে মসজিদের ইমামের মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা কার্যকরী করায় দু গৃহবধূ তাদের সংসার হারিয়ে পথে বসেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিনগত রাতে।
জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ঘরজামাই আবু সিদ্দিক। তিনি প্রায় দেড় যুগ আগে আবুল হোসেনের মেয়ে মাইফুনকে বিয়ে করে আমদহ গ্রামে ঘর সংসার করতে থাকেন। সংসার জীবনে মাইফুনের কোলজুড়ে আসে এক মেয়ে ও এক ছেলে। এরপরও প্রায় ৫/৬ বছর আগে আবু সিদ্দিক তার স্বামী পরিত্যক্তা জ্যেষ্ঠা বেগমের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং বেগমকে বিয়ে করে একই বাড়িতে দু বোনকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। বেগমের আগের ঘরে ছিলো এক ছেলে। এদিকে মুজিবনগর উপজেলার মহাজরপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আইতুল্লাহ বর্তমানে আমদহ গ্রামে বসবাস করে আসছেন। তার সংসারে রয়েছে সন্তানসহ স্ত্রী লাইলী খাতুন। সম্প্রতি তিনিও তার ছোট শ্যালিকা ফিরোজার সাথে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দু স্ত্রীকে নিয়ে তিনিও আমদহ গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। ছোট স্ত্রীও এক পুত্রসন্তান জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে আমদহ গ্রামের জামে মসজিদে ইমাম চট্রগামের ছেলে রওশন জামিল। তিনি শুক্রবার জুম্মার নামাজে খুদবা দেয়ার এক পর্যায়ে কোরআন-হাদিসের আলোকে বলেন, আপন দু বোনের সাথে বিয়ে করে সংসার করা হারাম, জঘন্য অপরাধ বলে। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে। তিনি তার বক্তব্যে মসজিদের মুসল্লিদের উৎসাহিত করে মাইনাস ওয়ান ফর্মূলা কার্যকর করতে বাধ্য করেন। অবশেষে শুক্রবার রাতেই গ্রাম্য মাতবরা মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা কার্যকর করেন। এতে ঘরজামাই আবু সিদ্দিককে বাধ্য করা হয় ২য় স্ত্রী বেগমকে তালাক দিতে। একই রাতে আইতুল্লাহকে বাধ্য করা হয় তার ২য় স্ত্রী ফিরোজাকে তালাক দিতে। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম্য মাতবর গোলাম কিবরিয়া, আব্দুল হান্নান, জিনারুল ইসলাম প্রমুখ। তালাকনামা হাতে পেয়ে পথে বসেছে বেগম ও ফিরোজা নামের দু গৃহবধূ। এ ঘটনা এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।