চুয়াডাঙ্গায় ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

এফবিসিসিআই পরিচালক সফল ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার লেখা

 

স্টাফ রিপোর্টার: দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বহুমুখী প্রতিভার অধিকার। তিনি শুধু সফল ব্যবসায়ীই নন, সমাজ সংস্কারকও। এরই অংশ হিসেবে তিনি লিখেছেন বই। ‘অদম্য বাংলাদেশ’ নামের বইয়ের ঢাকায় আনুষ্ঠানিক প্রকাশনার পর গতকাল তার মোড়ক উন্মোচন করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য এফবিসিসিআই পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার লেখা ‘অদম্য বাংলাদেশ’ বইটি সাংবাদিক, রাজনীতিক ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুধীজনদের উপস্থিতিতে বইটি উন্মোচন করা হয়। এসময় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান ও ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মাফলুকাতুর রহমান সাজু, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ জিল্লু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, কার্যকরি সদস্য শাহ আলম সনি ও প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ ও অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানসহ স্থানীয় সুধী সমাজ উপস্থিত ছিলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বইটি এবারের একুশে গ্রন্থ মেলায় ঢাকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা সংস্থা ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ বইটি বাজারজাত করেছে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মায়ের নামে। ১৪৪ পৃষ্ঠার বইটিতে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন প্রতিটি বাঙালির আলোর পথের দিশারী’ শীর্ষক লেখাসহ ৩৯টি বিষয়ের ওপর লেখা রয়েছে।

লেখক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ১৯৬৮ সালে চুয়াডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বড়বাজারের অমিয় কুমার আগরওয়ালা তৎকালে জার্মানি থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। দিলীপ কুমার তার বাস্তববাদী চিন্তা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও জনকল্যাণমূলক ভাবনা ও বোধ থেকে বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে। আলোচনা করেছেন টেলিভিশন টক-শোতে কিংবা বক্তৃতা দিয়েছেন সেমিনারে। তারই সংকলিত অংশ ছাপা হয়েছে গ্রন্থটিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন মাদার তেরেসা পুরস্কার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।

সমস্যা জর্জরিত যে সকল মানুষ গভীর হতাশা নিয়েও সুন্দর সকালের স্বপ্ন দেখেন তাদের জন্য বইটি উপকারে আসলেই লেখকের সার্থকতা বলে দিলীপ কুমার আশা প্রকাশ করেছেন।