সিসি ক্যামেরার সুফল নিতে দরকার কর্তাদের কর্তব্যপরায়ণতা

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের অধিকাংশ সড়ক সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হয়েছে। এরপরও মোটরসাইকেলচুরিসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি দেখে অপরাধী শনাক্ত করে দ্রুত ধরে আইনে সোপর্দ করার তেমন খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর তার ডিভিআরসহ মনিটর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় রেখেও যদি অপরাধী ধরতে গড়িমসি হয় তা হলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে লাভ কি?
চুয়াডাঙ্গায় দীর্ঘদিন ধরেই মোটরসাইকেল চোরের উৎপাত লেগেই রয়েছে। চোখের পলকে মোটরসাইকেল চুরি করে চম্পট দেয়। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের অধিকাংশই চোর হজম করে। দু একটি উদ্ধার হলেও তা অনেক বিরল ঘটনার মতোই মনে হয়। অথচ মোটরসাইকেল চুরি ও চুরি করে দূরে সরিয়ে দেয়ার সাথে কারা জড়িত তাদের অনেকেই চিহ্নিত। এরপরও চুরি হলে তার আর হদিশ মেলে না। অথচ চোরাই মোটরসাইকেলের নতুন রেজিস্টেশন যেমন সম্ভব নয়, তেমনই পুলিশের চোখে ফাঁকি দেয়াও অসম্ভব। তা হলে চোরাই মোটরসাইকেল কোথায় যায়? দেশেই থাকে। দিব্যি ব্যবহারও করা হয়। চোর ধরা পড়ে না, চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবহরকারীদের বিরুদ্ধেও তেমন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের নজির মেলে না। এরপর শহরের অধিকাংশ সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরও যদি চোর তা এড়িয়ে চুরি করে দিব্যি ঘোরে তা হলে পুলিশের চেয়ে চোরকেই তো বিচক্ষণ বলতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা কোর্টজামে মসজিদের সামনে থেকে একজন আইনজীবীর মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়েছে গতরাত সাড়ে ৮টায়। সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন এক শিশুর অসহায় পিতার নিকট থেকে মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও সিসি ক্যামেরায় ধারণ রয়েছে। এঘটনার কয়েকদিন পার হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক বৃদ্ধার গলার সোনার গয়না কৌশলে ছিনিয়ে নেয়া চিত্রও পুলিশের হস্তগত হয়েছে। অথচ অপরাধী অধরা।