সামান্য অসতর্কতায় সর্বগ্রাসী হতে পারে আগুন

 

আগুন সভ্য সমাজে অত্যাবশকীয় হলেও সামান্য অসতর্কতায় ছোট্ট আগুন ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে প্রত্যেকেরই সতর্ক থাকা দরকার। বস্তুত প্রতিটিঅগ্নিকাণ্ডই মানুষের জন্য সতর্কবার্তা রেখে যায়। মূলত গাফিলতি, অসতর্কতা, দায়িত্বহীনতা ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করাই ওই ঘটনা ওক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী।

অগ্নিকাণ্ড এড়াতে প্রথমেই যে বিষয়টির ওপর নজর দেয়াপ্রয়োজন তা হলো,ভবনে পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া। এক্ষেত্রেঅগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকাই যথেষ্ট নয়,সেসবের ব্যবহার জানা কর্মী এবংতাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকাও জরুরি। ভবনে কোনোভাবেই যেনবিপজ্জনকভাবেদাহ্য পদার্থ রাখা না হয়, কর্তৃপক্ষকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে। সরকারেরসংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে।এক্ষেত্রে নিয়ম লংঘন বা গাফিলতি কোনোভাবেই যেন বরদাশত করা না হয়।

প্রত্যেকব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রথম কর্তব্য হলো অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে পর্যাপ্তব্যবস্থা নেয়া। আর পরবর্তী কর্তব্য হলো অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে তা মোকাবেলারব্যবস্থা নেয়া। প্রাথমিকভাবে এ ব্যবস্থা বড় শহরের প্রতিটি ভবনে, ছোট শহরে প্রতিটি মহল্লায় গড়ে তোলা দরকার। এব্যবস্থা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে যিনি অগ্নিকাণ্ডের শিকার তাকে সরকারিঅগ্নিনির্বাপণ বিভাগ তথা ফায়ার সার্ভিসের শরণাপন্ন হতে হয়। আগুন দ্রুতনিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টি নির্ভর করে মূলত দুটি বিষয়- অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদেরদক্ষতা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছুনোর মতো রাস্তা তথা অবকাঠামোথাকা বা না থাকার ওপর।

শুষ্ক মরসুমে আগুন ব্যবহারে সকলকেই সতর্ক হওয়া দরকার। অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলার মতো প্রস্তুতিও প্রয়োজন। ঘর-বাড়ি নির্মাণ করলেই হবে না, নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে। পৌর এলাকার ঘর-বাড়ি নির্মাণের অনুমোদনের আগে রাস্তার বিষয়টি সর্বাত্মক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। একই সাথে প্রয়োজন প্রতিটি মহল্লায় পানির ব্যবস্থা রাখা।