সরষের ভূত তাড়াতে হবে আগে

সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা ইয়াবা। ইয়াবাসেবীর সংখ্যা বাড়ছে। সহজপ্রাপ্য হওয়ায় কিশোর-তরুণরাও মাদকে আসক্ত হচ্ছে। মাদক বাণিজ্যের নেপথ্যে অনেক ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে বলে জানা যায়। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের খুঁজে পায় না। আবার অনেক সময় খুঁজে পেলেও আইনের ফাঁক দিয়ে ঠিকই বেরিয়ে এসে আবার মাদক ব্যবসার সথে জড়িয়ে পড়ছে। ইয়াবা পাচার করে অনেকেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। লোভ সামলাতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক বাণিজ্যের অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে এর আগে ১০ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয় সারাদেশে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি সেই নির্দেশনা মেনে চলছে? অন্যান্য বাহিনী কি মাদকের বিস্তার রোধে আন্তরিকতার সথে কাজ করছে? আগে অভিযোগ শোনা যেতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে থাকেন। এখন সহায়তা করাই শুধু নয়, সরাসরি মাদক বাণিজ্যের সথে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগ গুরুত্বের সথে বিবেচনা করা দরকার।
দেশ থেকে মাদক দূর করতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে। সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিকল্পও তো নেই। এখন সময় এসেছে এসব বাহিনীতে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের যুবশক্তিকে ধ্বংস করে দেয় এমন কোনো তৎপরতা দেশের অভ্যন্তরে চলতে দেয়া যাবে না। আর এজন্য সরষের ভূত আগে তাড়াতে হবে।