সম্পাদকীয় বোমাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ জরুরি

যেখানে সেখানে বোমা ককটেল। বাড়ির পাশে, পথে-ঘাটে বোমা বিস্ফোরণই শুধু হচ্ছে না, পড়েও থাকছে। তা তুলে নিয়ে অবুঝ শিশু খেলতে গিয়ে হাত হারাচ্ছে। প্রাণও ঝরছে। বোমা আতঙ্ক এখন সর্বত্র। আন্দোলনকারীদের হাতে বোমা। ডাকাত, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের হাতেও বোমা। বোমাবাজ রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বোমার বারুদ পাচার করে আনার পথ বন্ধ করতেই হবে। বোমা তৈরির কারিগরদের ধরে আইনে সোপর্দ করার পাশাপাশি বোমাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ জরুরি।

অবরোধ-হরতাল মানেই বোমার বিকট শব্দ। পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করতে যখন মারণাস্ত্রের বেপরোয়া ব্যবহার বেড়ে যায় তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের ব্যর্থতাই ফুটে ওঠে। শহরে-গ্রামে বোমা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়েছে অপরাধীচক্রের মাঝে। বোমা এমন এক মারণাস্ত্র তা ব্যবহারকারী মুহূর্তেই নিক্ষেপ করে চোখের পলকে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে যেতে পারে। সে কারণে বোমার উৎস খুঁজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে- বোমার বারুদ, গানপাউডার প্রতিবেশী দেশ থেকেই পাচার করে আনা হয়। মাঝে মাঝে সীমান্তরক্ষীদের হাতে এসব ধরাও পড়ে। রাঘববোয়ালরা ধরা পড়ে না, বন্ধ হয় না বারুদ, গানপাউডার পাচার করে আনা। পাচার করে আনা বারুদ দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে, পড়ছে।

বোমা ককটেল বিস্ফোরণ হলে তা পটকা বলে বিষয়টিকে আড়াল করলে বোমাবাজচক্রের অপতৎপরতা যে দিন দিন বাড়বে তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। পটকাবাজিও আমাদের দেশে বৈধ নয়। বোমাবাজি রুখতেই হবে। বোমা রুখতে পর্যাপ্ত সোর্স নিয়োগের বিকল্প নেই। বোমাবাজ ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে যেভাবে বোমাবাজি বেড়েছে তা হ্রাস পেতে বাধ্য। বোমা রেখে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক বলে দাবি করা অবশ্যই অবান্তর। বোমাকে বোমা বলে স্বীকার করে নিয়েই প্রতিটি বোমার সাথে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় নিতে হবে।