সম্পাদকীয় এগিয়ে আসছে নিরুত্তাপ নির্বাচন : চলছে আন্দোলন

নির্বাচনী উত্তাপ নেই। যদিও চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বীয় প্রার্থীরা নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টিতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলের বা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র। বিরোধীদল না থাকলে নির্বাচন জমবে কীভাবে? এরই মাঝে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আজ থেকে দেশে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। অপরদিকে বিরোধীরা আন্দোলনে। আগামী রোববার ঢাকামুখি অভিযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে তারা।

দেশের সাধারণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও অবাধ পরিবেশে প্রয়োগ করে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। সে পরিবেশ যে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুপস্থিত তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। বিরোধীদলীয় জোটভুক্তদের ভাষায় এটা একতরফা নির্বাচন। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দাতা দেশগুলো ছাড়াও প্রভাবশালী দেশ পর্যবেক্ষক না পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকের দরকার নেই বলেও নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর কিছু নেতা খানেকটা দম্ভের সাথেই উল্লেখ করেছেন। নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, তারা ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই আন্দোলন করছেন। যদিও আন্দোলনের যাতাকলে দেশের আমজনতাই পিষ্ট হচ্ছে। পুড়ছে, মরছে। দেশে বিরাজমান অস্থিরতার জন্য দেশের বৃহত দুটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের কেউই দায় মুক্ত হতে পারে না। কোনপক্ষের দায় কতোটা বেশি আর কম তাও রাজনৈতিক সচেতন সাধারণ মানুষের কাছে অজানা নয়।

আগামী ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এদিনে বিরোধীরা গণকারফিউ জারি করতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রচারিত হয়েছে। আগামী রোববার ঢাকামুখি অভিযাত্রা আন্দোলনের মোড় কোন দিকে নেয় তাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মাঝে ক্ষমতাসীনদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ওদের ওই কর্মসূচি সফল হতে দেয়া হবে না। দীর্ঘদিন ধরেই দু পক্ষের পাল্টাপাল্টি যুক্তি, কর্মসূচিতে দেশের সাধারণ মানুষ অস্বস্তিতে। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, চাষেও সার সংকট। পরিত্রাণ প্রয়োজন।