সমাজের স্বার্থেই সর্বক্ষেত্রেই দরকার স্বচ্ছ জবাবদিহিতা

হুট করে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুম কিংবা কিছুদিন পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। যারাই যাকে তুলে নিক বা ধরে নিয়ে যাক, পুলিশ এর দায় এড়াতে পারে না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে যখন পুলিশ নিয়োজিত, তখন পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে আস্থাহীনতা এক সময় বিশৃঙ্খলাই ছড়াবে না পুরো জাতিকেই চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হতে পারে। ফলে অনাগত ভবিষ্যতকে সুন্দর করতে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার উপযুক্ত সময়।
সকলকেই যে দুষ্কৃতীচক্র তুলে নিয়ে যাচ্ছে তা যখন নয়, তখন বিভ্রান্ত ছড়ানো স্বাভাবিক। এই বিভ্রান্তিরমাত্রা যতো বাড়বে জাতির ভবিষ্যত ততোই হুমকির মধ্যে পড়বে। অবশ্যই কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রেই সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই মঙ্গল বয়ে আনে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন, সংযোজন করতে হয়। নানা পরিচয়ে তুলে নেয়া কিংবা অপহরণ অথবা আত্মগোপন যেটাই হোক, প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহের তড়িৎ পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতে স্বচ্ছতা বাড়ে, বাড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের ওপর আস্থা। আর আস্থাহীনতার ফল হয় উল্টো। সেটা নিশ্চয় কাম্য নয়। তাছাড়া একজনকে অপহরণ করে নিয়ে গেল, দিনের পর দিন পার হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না যখন তখন পুলিশের অপারগতাটাও আস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে নাকি? তারপর যখন মসজিদের ইমাম অপহরণের ঘটনা ঘটে তখন আরও কিছু প্রশ্ন সামনে উঠে আসে।
আমাদের সমাজেই শুধু নয়, বিশ্বজুড়েই ধর্মান্ধতা ছড়াচ্ছে অস্থিরতা। এ জন্য কোনো একক ধর্মকে এখন এককভাবে দায়ী করাও দুষ্কর। তবে কোনো ধর্মীয় উগ্রতাকেই সমর্থন করা যায় না। চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের হাসপাতাল জামে মসজিদের পেশইমামকে তুলে নেয়ার পর সঙ্গত দুটি প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। তিনি কি জঙ্গিদের সাথে সংশ্লিষ্ট? নাকি তাকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তুলে নিয়ে বন্দি করা হয়েছে কোনো এক ডেরায়? যেটাই হোক অস্পষ্টতাও অস্থিরতা বাড়ায়, আতঙ্ক ছড়ায়। সমাজের স্বার্থেই এ আতঙ্ক দ্রুত দূর করা দরকার।