শিবনগর আমবাগান ও বটতৈল বিল নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার শিবনগর আমবাগান ও বটতৈল বিলের দৃশ্যপটকে আরো দৃষ্টিনন্দন করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাকে এলাকাবাসী অভিনন্দন জানাবে এটাই স্বাভাবিক। ইতোমধ্যেই ইকোপার্কে রূপান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এ খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।

শিবনগর আমবাগান ও বটতৈল বিল ইকোপার্ক হলে দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুরা শুধু চিত্তবিনোদনের স্থানই পাবে না, এলাকার ভূমিগ্রাসীরাও ভূমি গিলে খাওয়ার চক্রান্ত করার সুযোগ পাবে না। নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, এলাকার বহু দেবত্ব সম্পত্তি ভূমিদস্যূরা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে। বহু খাস বিল-বাঁওড়ের পাড় বেদখল হয়ে গেছে। এর মাঝে শিবনগর আমবাগান ও বটতৈল বিলটি দৃষ্টিনন্দনের বিশেষ উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে বটে। এলাকায় ইকোপার্ক গড়ে তোলা হলে দেশ-বিদেশের বহু দর্শনার্থী ভিড় জমাবেন। অনেকেই এর মধ্যদিয়ে গড়ে নিতে পারবেন কর্মসংস্থান। বদলে যাবে এলাকার অর্থনৈতিক চিত্রও।

নির্মিতব্য ইকোপার্কের নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের বিশেষ উদ্যোগে ইকোপার্কের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী পার্কটি পূর্ণতা পেলে বদলে যাবে দৃশ্যপট। দৃষ্টিনন্দন স্থানে হেঁটে, মুক্ত বাতাসে বসে মিলবে চিত্তবিনোদন। পার্কটি যতো দ্রুত পূর্ণতা পাবে ততোই কল্যাণ। পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোক্তা যতো আন্তরিক হবেন, ততোই মঙ্গল। কেননা, একজন উদ্যোক্তা উদ্যোগ নেন, তিনি প্রয়োজনের তাগিদে কিংবা কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতায় দূরে চলে গেলে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ভাটা পড়ে। এ রকম কষ্টের উদাহরণের অন্ত নেই। ফলে উদ্যোক্তার বিশেষ অবদান এ ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকেই অনেকটা অনিবার্য।

শিবনগর আমবাগানের সামনের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই তালসারি বলে পরিচিত। বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়ার কারণে অনেকে এখনও বনভোজনসহ নানা আয়োজন করেন। অযত্ন অবহেলার কারণে অতোটা কাছে টানেনি। পরিকল্পিতভাবে ইকোপার্ক গড়ে তোলা হলে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেতে বাধ্য।