শিক্ষকের সামান্য অসতর্কতা অনিবার্য হতে পারে লজ্জা

 

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে প্রধান শিক্ষক একজন সহকারী শিক্ষককে মারপিট করেছেন। ভাগ্যিস মারপিটের ঘটনাটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কোনো শ্রেণিকক্ষে ঘটানো হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে উপস্থিত অপর শিক্ষকমণ্ডলীর সামনে। তারপরও একজন শিক্ষককে কি আর একজন শিক্ষকের মারধর করা সাজে? ইয়ারকি ঠাট্টার ছলে হলেও একজন শিক্ষককে আর একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা অসভ্যতা। যা নৈতিকতার স্খলনেরই বহির্প্রকাশ।

গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী এক শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিরোধ শেষ পর্যন্ত মারপিটে রূপ নেয়। না ঘটনাটিকে কোনভাবেই হাস্যকর বলে মুখ ঘোরানোর বিষয় নয়। একজন শিক্ষক কীভাবে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন? ক্ষতিয়ে দেখতে অবশ্যই তদন্ত প্রয়োজন। যখন কোন শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার সুযোগ নেই, বেত্রাঘাত দূরের কথা বেত বা ভিতিকর দাগকাঠি হাতে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করা বারণ, তখন বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দুজন শিক্ষকের দেনা-পাওনা নিয়ে বশচা উভয়েরই সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অসঙ্গত নয়।

একজন শিক্ষকের হুট করে উত্তেজিত হওয়া বা ক্ষুব্ধ হয়ে অন্যের ওপর হামলে পড়া মানে সকল শিক্ষকের লজ্জা না হলেও সকল শিক্ষকেরই সঙ্গত আচরণ প্রত্যাশা করে সমান। কেননা, শিক্ষকরাই সমাজের পথ প্রদর্শক। শিক্ষকের আচরণ শিক্ষার্থীদের অবশ্যই অনুকরণীয়। বিষয়টি শুধু শ্রেণিকক্ষ বা বিদ্যালয়ই নয় শিক্ষককে ঘরে বাইরে সর্বক্ষেত্রেই সতর্কতার সাথে পা বাড়াতে হয়। অন্যথায় অনিবার্য হয়ে ওঠে লজ্জা।ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমাজ, সমাজের ভবিষ্যত।