রোপণকৃত গাছের চারাগুলোর পরিচর্যাও প্রয়োজন

চুয়াডাঙ্গা জেলায় বৃক্ষরোপণের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে। জেলাজুড়ে সাড়ে ৭ লাখ বৃক্ষের চারা রোপণ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এ উদ্যোক্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক। সহযোগিতায় রয়েছে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলার সকল জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি বেসরকারি প্রায় সকল সংস্থা।
সবুজ সোনার বাংলায় সবুজের সমারহ। বিশ্বের খুব কম অঞ্চলই আছে যেখানে এতো সবুজের দেখা মেলে। আমাদের জমি ঊর্বর, বীজ ফেললেই গাছ গজায়। আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর। গাছের সমারহের কারণেই বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণও বেশি। অক্সিজেন ছাড়া মানুষের একমূহূর্তও চলে না। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন অক্সিজেন কিনতে হচ্ছে। বিষয়টি শুনলে প্রথমে খটকা লাগা স্বাভাবিক। বাজারে যখন প্রথমে বোতলজাত পানি বিক্রি শুরু হয়, তখনও কি এমনই খটকা লাগেনি? সে কারণেই সময় থাকতে সঠিক কাজটি করা দরকার। প্রকৃতি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। প্রকৃতি বিগড়ে গেলে যাবো কোথায়? নারকেল তাল গাছের অভাবে বজ্রপাতে প্রাণহানি বেড়ে গেছে বহুগুণ, গাছ গাছালি না থাকার কারণে ঘুরে ফিরেই ফুটে উঠছে বৈরি আবহাওয়া। পরিস্থিতি সামাল দিতে বহুদিন ধরেই দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলমান। এ কর্মসূচিকে আরও একটু বেগবান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়ে জেলাজুড়ে ৭ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলেন তা অবশ্যই অন্য জেলাগুলোর জন্যও অনূকরণীয়।
জেলায় ফলজ, ঔষধি ও বনজ গাছের সাড়ে ৭ লাখ চারা রোপণ কোনো একক ব্যক্তির পক্ষে একদিনে সম্ভব নয়। এর মধ্যে রয়েছে সম্মিলিত প্রয়াস। রোপণের মধ্যদিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে চলবে না, রোপণকৃত গাছের চারাগুলো প্রয়োজনীয় পরিচর্যার মধ্যদিয়ে বড় করে তুলতে পারলেই পূর্ণ স্বার্থক হবে উদ্যোগ।