মূলকথা হচ্ছে প্রশ্নফাঁস রোধ

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সভায় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। সরকারের নেয়া এসব সিদ্ধান্তের একটি হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে, গত শুক্রবার থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ, সব শিক্ষা বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল, শুধু কেন্দ্রসচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন ইত্যাদি। প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এমনকি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও যদি প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, সে পরীক্ষাও বাতিল হবে। অর্থাৎ প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে সরকার এবার বদ্ধপরিকর।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসন গ্রহণের বিষয়টি। বিশেষ করে যানজটের শহর ঢাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত কতোটা বাস্তবমুখী এ প্রশ্নই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে অভিভাবক মহলে। কারণ রাজধানীতে যে যানজট, তাতে এতো আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুনো কষ্টকর বলে মনে করছেন অনেক অভিভাবক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নের প্যাকেট খোলার নিয়ম রয়েছে। এ সময় অনেক শিক্ষক মোবাইলফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে তা কেন্দ্রের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীরা সেই প্রশ্ন সমাধান করে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকছে। অভিযোগ আছে,অনেক কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেট খোলার সময় মোবাইলফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রশ্নের প্যাকেট খোলা না হলেই তো প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা রোধ করা সম্ভব। পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা কেন? মূলকথা হচ্ছে প্রশ্ন ফাঁস রোধ। এর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার দিকটিও বিবেচনা করতে হবে।