মানুষ সত্যকে ভয় পেলেও সত্যরই অনুসারি

খবরটা ছোট্ট এবং একান্তই দু’জনের। তার পর বহুদূরের। মালয়েশিয়ার। তা হলেও বিশ্বের প্রাপ্ত বয়সী তথা শৈশব ফেলে আসা সিংহভাগেরই হৃদয় ছোঁয়া। বিশেষ করে যারা নির্ধারিত পোশাকের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন তাদের ওরা দুজন একটু একান্তে নড়িয়েছে। বহুদিন আগে বিদ্যালয় ছাড়লেও শৈশবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেই নির্ধারিত পোশাকে বিয়ে করে অন্যদেরও স্মৃতিপটে পড়া ধুলো ঝাড়তে সহায়ক হয়েছে। এমনটিই হয়। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার দ্বিতীয় পাতায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ে প্রবীণদেরও নিশ্চয় ফেলে আসা দিনগুলো একটু অন্যরকম আবেশে ফিরেছে মনের গভিরে। সে স্মৃতি কারো কষ্টের, কারো সুখের। তবুও …..
দিন আসে দিন যায়, মানুষ আসে মানুষ যায়। সময়ের নিদারুন ¯্র্েরাতে জীবন চলার পথে বাঁকে বাঁকে কতাই না ঘটনা ঘটে। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে বিচিত্রহলেও সহজাত প্রবিত্তির প্রাকৃতিক চরম সত্যকে কি কেউ অস্বীকার করতে পেরেছে?  সেটা অসম্ভব বলেই তো ‘মোনালিসা’ এখনও হাসে। গায়ের জোরে সব কিছু হয় না যেমন, তেমনই ইচ্ছে করলেই স্মৃতিপট পাল্টে নেয়া যায় না। যদিও সত্য স্বীকার করা না করা নিয়ে ব্যাক্তিভেদে তর্ক থাকতেই পারে। তা নিয়ে মাতামাতির চেয়ে মালয়েশিয়ার মুহাম্মদ হাসিফি আজমান ও সিতি নূর জাইমা মাত দাউদ জুটির ইচ্ছেপুরনকে ইতিবাচক বলতেই হয়। ওরা ওদের বিয়ের দিন পেছনের সেই প্রথম দেখা বা প্রথম প্রথম অন্যরকম অনুভতির ছোঁয়া পেতে চেয়ে অন্যদেরও যে নাড়া দিতে পেরেছে তা অস্বীকার করা যায় না।
ওদের স্বপ্নপুরণ ও মুক্ত চিন্তার প্রতিফলনের জন্য অবশ্যই অভিনন্দন। দাম্পত্য সুখের হোক। যদিও দাম্পত্যে দুজনের বোঝাপড়ার ততক্ষন মূল্য থাকে, যতক্ষণ উভয়য়ের ত্যাগ মাপার মাফকাঠিটা থাকে আড়ালে। সামনে এলেই সর্বনাশ। আর বিশ্বাস? দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে না পারলে সন্দেহের ঘুন একদিন অনিবার্য করে তোলে অবিশ্বাস। যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও থাকে। থাকে ভুল। মালয়েশিয়ার ওই জুটি বিদ্যালয়ের পোশাকে বিয়ে করে বিশ্বজুড়ে শৈশব হারানোদের নাড়া দিয়ে নিশ্চয় ভুল করেনি, ওরা ওদের মতো করে ভেবে, ওদের মতো করে সেজে বিয়ের প্রথাতেও করেছে আঘাত। এভাবেই বদলায় সংস্কৃতি। কেনো না, মানুষ সত্যকে ভয় পেলেও সত্যরই অনুসারি। সত্যই সুন্দর।

পুনশ্চ:  সত্য কি তেতো, সে কি জীবনের মতো, বেঁচেও মরা নাকি বিভেদের ক্ষত?