মদ জুয়ার আস্তানা উচ্ছেদে লাগাতার অভিযান অপরিহার্য

 

চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জুয়াড়িদের অপতৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে ও রাতে জুয়াড়িরা আসর বসাচ্ছে। এসব আখড়ায় যোগ দিয়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছে, হচ্ছে। মাঝে মাঝে জুয়ার আখড়ায় পুলিশি অভিযানের খবর পাওয়া গেলেও অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে খুশি করেই জুয়ার আখড়া বসানো হয়। অভিযোগ যে একেবারে অবান্তর তাও নয়। তা না হলে চিহ্নিত জুয়াড়িদের অপতৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কীভাবে?

চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার নিকটস্থ কবরস্থানের অদূরে, দামুড়হুদা উজিরপুরের বাগানে, ভালাইপুর মোড়ের পরিত্যক্ত ইটভাটায়, ঠাকুরপুরের মাঠে, জীবননগরের হাসাদাহে, কালীগঞ্জের গোপন আস্তানা ও কুষ্টিয়া বৃত্তিপাড়ার অদূরবর্তী স্থানসহ বেশ কয়েকটি স্থান ইতোমধ্যেই চিহ্নিত হয়ে উঠেছে। এসব স্থানে যারা জুয়ার আসর বসায় তারাও চিহ্নিত। কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলের দাপটও দেখায়। কোথাও তাসের, কোথাও বোর্ডের জুয়ার আয়োজন করা হয়। অবাক হলেও সত্য যে, রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত জুয়ার আসর চলে। এসব আসরে দূর-দূরান্ত থেকে জুয়াড়িরা আসে মাইক্রো-প্রাইভেট কার নিয়ে। জুয়াড়িদের পরিবহন খরচ যেমন জুয়ার বোর্ড থেকে দেয়া হয়, তেমনই রাতভর মদ গাঁজার জোগানও চলে। এসব আখড়ায় যোগ দিয়ে অনেকেই ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে পথে বসছে, কেউ কেউ হচ্ছে বিপথগামী। জুয়া খেলতে গিয়ে অনেকেরই সাজানো সংসার তছনছ হয়ে গেছে।

জুয়া শুধু চুয়াডাঙ্গায় নয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও চলছে। জুয়া রুখতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। জুয়া রুখতে পরিবারের সদস্যরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসহায় হয়ে পড়ে। পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের আর কতোটুকুই করণীয় থাকে? পুলিশ-ই ভরসা। জুয়াড়িদের অপতৎপরতা রুখতে না পারলে সন্ত্রাস দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। কিছুতেই আপস নয়, মদ-জুয়ার আস্তানা উচ্ছেদে লাগাতার অভিযান অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।