বিদ্যুত সংকট এবং চাহিদা মতো না পাওয়া

 

বিদ্যুত সংকট তীব্রতর হচ্ছে দিন দিন। তুলনায় শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে সংকট তীব্র। বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে চাহিদা মোতাবেক জোগান না পাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে। বলা হচ্ছে, গ্যাস সংকটের কারণে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ৬০০ থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কম উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে দেশজুড়েই বেড়েছে লোডশেডিং। গ্রাম এলাকায় পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা লোডশেডিঙের শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা।

 

সরকার এর আগের মেয়াদে গ্যাস সংকট কমাতে ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে নতুন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্প-কারখানায় সংযোগ দিতে ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে নতুন সংযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও অবস্থা যে তিমিরে ছিলো, সে তিমিরেই রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর অনাবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র পড়ে থাকলেও সম্প্রতি নোয়াখালীর সুন্দলপুরে মাঝারি মানের একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা ছাড়া উল্লেখ করার মতো কোনো সাফল্য নেই। অথচ গ্যাস সংকট নিরসনে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি অপরিহার্য। তাছাড়া কুইকরেন্টাল বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন পরিস্থিতি কি? প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেও বিদ্যুত নেয়া হচ্ছে। তাহলে দেশে বিদ্যুত চাহিদা মতো মিলছে না কেন? এ অবস্থার অবসান জরুরি।

 

যে হারে বিদ্যুত চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে না পারলে উন্নয়নের আশা করা কতোটা সঙ্গত! বিদ্যুত সংকট রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির আশা অবান্তর। সে কৃষিক্ষেত্রেই হোক, আর শিল্পক্ষেত্রেই হোক। বিদ্যুতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্রুটিমুক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।