প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য

বর্তমানে তিন হাজার প্রধান শিক্ষক ও ছয় হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও দুই হাজার প্রধান শিক্ষক ও ছয় হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে। কিছু পদ চলতি দায়িত্বে সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের দিয়ে পুরণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তাতে রয়েছে ধীরগতি।

নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় অসিনের পর প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৫২ জন প্রধান শিক্ষক ও ৫৭ হাজার সহকারী শিক্ষক। এরপরও শিক্ষক সঙ্কট একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ হলো কয়েক দশক পর সরকার নুতন করে অনেকগুলো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছে। এই পদক্ষেপ ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করলেও নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক সংকট। কেননা এসব বিদ্যালয়ে ছিলো না পর্যাপ্ত শিক্ষক। ইতোমধ্যে জাতীয়করণকৃত নতুন বিদ্যালয়গুলিতেও এই পর্যন্ত এক হাজার ৭৯৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হয়েছে। তার পরও সংকট কাটছে না। এজন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতাও কম দায়ী নয়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় শূন্যপদগুলো পূরণ করতে না কতেই আবার নতুন করে শূন্য পদ তৈরি হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে নানা টানাপোড়েন ও জটিলতার মধ্যে ছিলো। এখন কাটিয়ে উঠার পথে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী চার মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে আরও ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে। এটা যতো দ্রুত সম্ভব হবে ততোই মঙ্গল।