বাড়াবাড়ি ক্রমেই যেন সহ্যের সীমা অতিক্রম করছে। যেসব ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ইতোমধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এখনও চলছে মহলবিশেষের ক্ষমতার রকমারি তাণ্ডব। শঙ্কা সত্য প্রমাণ করে আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও তার অশুভ প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদিও চুয়াডাঙ্গা প্রশাসন সুষ্ঠু, অবাধ নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
আগামীকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৪টিসহ দেশের ৬৪৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গার ৪টি ইউনিয়নের মোট ৪২টির মধ্যে ১৯টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে ইতোমধ্যেই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সে মতো ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তারপরও শঙ্কামুক্ত হওয়া কঠিন, বিশেষ করে প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চিত্র দেখে। প্রথম দফায় ঘোষিত তফসিলভুক্ত ছিলো না চুয়াডাঙ্গার কোনো ইউনিয়ন। গত ২২ মার্চ যে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন হয়, তার অধিকাংশ ইউনিয়নের নির্বাচনের আগে তো বটেই, নির্বাচনের দিন পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। শুধু যে কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে তা নয়, ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়াসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষকে এলাকাছাড়া করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় দফা নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে। রাত পোয়ালেই ভোট। অথচ গতরাতে চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নে এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারপিট করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। অপরপক্ষের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ারও অভিযোগ ওঠে গতরাতে। এ অবস্থায় ভোটার সাধারণ তাদের ভোটাধিকার কতোটা প্রয়োগের পরিবেশ পাবে সেটাই বড় প্রশ্ন।
ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের পরিণাম ভালো হয় না, ভোটার সাধারণ তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগের পরিবেশ পেলে পছন্দের প্রার্থীকেই নির্বাচিত করে। তাতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। পেশিশক্তি প্রয়োগেই হোক আর ক্ষমতার প্রভাবে বেপরোয়া হয়ে ভোট কেটে বাক্সভর্তিই হোক, তাতে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর আখের গোছানোর সুযোগ হলেও ভোটার সাধারণের ক্ষোভ বাড়তেই থাকে। সুযোগ বুঝে জবাব দেয়।