পুলিশের প্রচেষ্টা সফল হলে সুফল ভোগ করবে সমাজ

শ্যালোইঞ্জিন চালিত হরেক নামের অবৈধ যান একদিনে ব্যাপকাতা পায়নি। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা অবৈধ যান প্রধান প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে বিভিন্ন সময় শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হলেও তার ধারাবাহিকতায় বার বারই ভাটা পড়েছে। ঘুরে ফিরে সামনে উঠে এসেছে কর্মসংস্থান এবং সহজ ও সস্তায় কৃষিপণ্য বহন প্রসঙ্গ। তবে এটা অস্বীকার করার জো নেই যে, অবৈধ যান যতোটা পরিবারের কর্মক্ষম পুরুষকে কর্মসংস্থান যুগিয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষের জীবনে চাপিয়েছে পঙ্গুত্বের অভিশাপ। ওই সব যান কতোজনের প্রাণ কেড়েছে তার তো ইয়েত্তা নেই।
সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে অবৈধ এ যান সড়কে চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এ আদেশের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ নব উদ্যমে অযান্ত্রিক অবৈধ যান সড়ক থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা। প্রচারণা উদ্বোধনের সময় সড়কে নেমে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম স্পষ্টভাষায় বলেছেন, আইন আইনের গতিতে চলবে। ৪ দিনের প্রচার প্রচারণার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ অবৈধ যানবিরোধী জোরদার অভিযান শুরু করবে। ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হবে। প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্যই সকলের স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে হলে দেশের বাস্তব অবস্থাদৃষ্টে যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো অনিরাপদ সড়ক। সড়কে বের হয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার ন্যূনতম নিশ্চয়তা নেই। অসচেনতা ও সড়ক আইনের যথাযথ প্রয়োগে ঘাটতি না হলে সড়ক এতোটা ঝুঁকিপূর্ণ হতো না। বিলম্বে হলেও সড়ক নিরাপদ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে অবৈধ যান উচ্ছেদকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ গুরুত্ব দিয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশ পালনে পুলিশের প্রচেষ্টা সফল হলে তার সুফল ভোগ করবে সমাজ।