পিছিয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গার অগ্রযাত্রার গতি বাড়াবে স্থলবন্দর

এমনিতেই উন্নয়ন তালিকায় চুয়াডাঙ্গার নাম তেষট্টিতে। তারপর যদি রশি টানাটানানির কারণে বন্ধ হয়ে যায় উন্নয়ন তাহলে তো মনকষ্টের শেষ থাকে না। স্থলবন্দর স্থাপন নিয়ে দু’পক্ষের বক্তব্যের ফুলঝুরিতে আমজনতার মনে দানা বাধা প্রশ্ন শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবননগরের চ্যাংখালী নাকি দর্শনার জয়নগর? দু’পক্ষেরই দাবি শিগগিরই স্থালবন্দরের কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। দু স্থানের দু’পক্ষের দেয়া তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় পৃথক দুটি প্রতিবেদন যথাযথ গুরুত্বসহকারেই প্রকাশ করা হয়েছে। কেননা আমরা উন্নয়নকামী।
জীবননগর-মাজদিয়া সড়ক স্থাপনের কাজ চলছে। চ্যাংখালী সীমান্তে স্থলবন্দর চালুর নিমিত্তেই ভারতীয় অংশের সড়ক সম্প্রসারণসহ পাকাকরণের কাজ চলছে বলে দাবি করা হলেও দর্শনা জয়নগর-গেদে চেকপোস্টেই স্থলবন্ধর স্থাপন করা হবে বলে সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানসহ নানা প্রতিশ্রুতি পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। তথ্য উপাত্ত্যে কিংবা যুক্তিতে জীবননগর যেমন, তেমনই দর্শনাও শক্ত অবস্থানে। যদিও কোথায় স্থলবন্দর হবে তার চূড়ান্ত ফলাফলটা মূলত ভারতের তরফেই পাওয়া যাবে। তার আগে অবশ্যই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরে বিষদ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে যদি রশি টানার প্রভাব শেষ পর্যন্ত হতাশ করে তার দায় কে নেবে? সে কারণেই দায়িত্বশীলদের সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে উন্নয়ন তালিকায় শেষের দিকে থাকা চুয়াডাঙ্গার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অবশ্যই সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। জীবননগরের চ্যাংখালীতে এক সময় স্থলবন্দর ছিলো। সে হিসেবে সড়কসহ জমির জটিলতা অতোটা নেই যতোটা দেখা দিতে পারে জয়নগর-গেদের ক্ষেত্রে। এরপরও সময়ের ¯্রােতে প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কিছু হয়। ঘাট-অঘাট হয়, রাস্তাও বে-রাস্তা হওয়া বেসম্ভব নয়। দরকার শুধু উন্নয়ন। পিছিয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গার অগ্রযাত্রার গতি বাড়াবে স্থলবন্দর। ফলে যেখানেই হোক, যতো দ্রুত চালু হবে ততোই মঙ্গল।