পরীক্ষিত সত্যটাই সব সময় সর্বজনগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত

 

কোনোকালে কোনো কাল কারোর জন্যই অনুকূলে ছিলো না। থাকে না। অনুকূলে হয়ে আসেও না। কাল তথা সময় সকলের জন্যই প্রতিকূলে থাকে, তাকে অনুকূলে নিতে পারাটাই সক্ষমতা। এজন্য দরকার অধ্যবসায়। অতীত এই শিক্ষাই দেয়। বর্তমান সব সময়ই ভবিষ্যতকে বরণ করার মধ্যদিয়ে অতীত হয়। যে তার বর্তমানকে যতোটা অনুকূলে নিতে পারে তার ভবিষ্যত ততোটাই সুন্দর হয়। মূলত সে কারণেই সময়ের অপচয় যেমন ব্যক্তি ও জাতি বা গোষ্ঠীর জন্য ক্ষতির কারণ, তেমনই সুন্দরকে আরও সুন্দর করতে নতুন সত্যকে বিশ্লেষণ-বিশ্বাস সময়েরই দাবি। যেমন এক সময় বিশ্বাস ছিলো- পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সূর্য। ভ্রান্ত সেই বিশ্বাস কাটিয়েছে এক সময়ের বর্তমান। তখন পুরোনো ধারণা বদলানো অতোটা সহজ ছিলো না, হয়নি। কালের স্রোতে পরীক্ষিত সত্যটাই হয়েছে সর্বজন গ্রহণযোগ্য। সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবী। এরপর যদি আরো কোনো তথ্য আসে এবং প্রযুক্তির মাপকাঠিতে পরীক্ষিত হয় তাহলে মানতে নিশ্চয় বাধা থাকা উচিত নয়। এই বাস্তবতার আলো বর্তমান প্রজন্মের মাঝে যতোটাই ছড়ানো যাবে, অনাগত ভবিষ্যত ততোই সুন্দর হবে।

প্রসঙ্গত: কুসংস্কারের ভেদ ভাংতে চাইলেই যদি অনুভুতিতে আঘাত হয় তা হলে মুখোশ-খোলশ খুলবে কীভাবে? খোলেন মুলত সে কারেই।